এক বছরেরও বেশি গাজায় জিম্মি থাকার পর মুক্তি পাওয়া পাঁচ থাই খামার শ্রমিক রোববার ব্যাংককে পৌঁছেছেন। এসময় বিমানবন্দরে অপেক্ষা করতে থাকা তাদের প্রিয়জনদের জড়িয়ে ধরে এবং আনন্দে কেউ কেউ কেঁদে ফেলেন। ব্যাংককে থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
গাজা যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ৩০ জানুয়ারি মুক্তি পাওয়ার পর, ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরের আগমন কক্ষে প্রবেশ করার সময় পাঁচ থাই নাগরিক হাসছিলেন। মুক্তি পাওয়া পাঁচ থাই-ওয়াচারা শ্রীয়াউন, পংসাক তান্না, সাথিয়ান সুয়ান্নাখাম, সুরাসাক লামনাউ এবং বান্নাওয়াত সায়থাও। তারা রোববার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টায় ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এসময় তাদের আনন্দিত আত্মীয়স্বজন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাদের স্বাগত জানান।
সোম্বুন এএফপিকে বলেন, তিনি খুব খুশি এবং তার পরিবার তার ছেলে বান্নাওয়াতকে ঐতিহ্যবাহী থাই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাড়িতে স্বাগত জানাবে। তাকে আবার বাড়ি থেকে দূরে রাখতে চাই না। তিনি আরো বলেন, অপহরণের নয় মাস আগে তার ছেলে পরিবারের জন্য আরো ভালো আয়ের সন্ধানে ইসরায়েল যান।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস যখন ইসরাইলে আক্রমণ করে। তখন ৩১ জন থাই নাগরিককে অপহরণ করা হয়। যার মধ্যে ২৩ জনকে সেই বছরের শেষ নাগাদ মুক্তি দেওয়া হয় এবং মে মাসে দুজনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। একজন থাই নাগরিক এখনও গাজায় জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত মাসে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে পাঁচজন জিম্মিকে হস্তান্তরের সময় বিশৃঙ্খলা দেখা যায় ।
সূত্র: এএফপি
এসজেড