ঢাকা | বঙ্গাব্দ

নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও আমদানি করা যাচ্ছে না ভারতীয় পেঁয়াজ

প্রায় ৫ মাস পর পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে ভারত।
  • | ১২ মে, ২০২৪
নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও আমদানি করা যাচ্ছে না ভারতীয় পেঁয়াজ ফাইল ছবি

প্রায় ৫ মাস পর পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে ভারত। তবে অধিক রপ্তানিমূল্য ও শুল্কায়নের কারণে প্রতিবেশী দেশটি থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছেন না হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা।


তাদের দাবি, বর্তমান রপ্তানিমূল্যে ভারত থেকে পেঁয়াজ নিয়ে আসলে লোকসান গুণতে হবে। অন্যদিকে, আমদানি না হওয়ার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাজারে। যার ফলে পেঁয়াজের দামে স্বস্তি মিলছে না ভোক্তাদের।


২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর অভ্যন্তরীণ সংকট ও মূল্য বৃদ্ধির অজুহাতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারত সরকার। এরপর প্রায় ৫ মাস বন্ধ থাকে প্রতিবেশী দেশটি থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি। সবশেষ গত ৫ মে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে ভারত। তবে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পাশাপাশি টনপ্রতি ৫৫০ মার্কিন ডলার রপ্তানিমূল্য ও ৪০ শতাংশ হারে শুল্কায়ন নির্ধারণ করে দেশটি।



নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর ১৯ জন আমদানিকারক অন্তত ২৪ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেলেও দেশে আসেনি ভারতীয় পেঁয়াজ। আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, এই রপ্তানিমূল্য ও শুল্কায়নের ফলে প্রতিকেজি পেঁয়াজ আনতে অন্তত ৬৮ থেকে ৭০ টাকা খরচ পড়বে। সেই হিসেবে দেশের বাজারেই পেঁয়াজের দাম এর চেয়ে কম। এক আমদানিকারক বলেন, দেশীয় পেঁয়াজের দামই ৬০ থেকে ৬২ টাকা। এজন্য আমরা আমদানি করি না।



আরেক আমদানিকারক বলেন, ভারতের নির্ধারণ করা রপ্তানিমূল্য ও শুল্কায়নের সঙ্গে যদি দেশের শুল্কটা যোগ করা হয়, তাহলে প্রতি কেজি পেঁয়াজ আমদানিতে ব্যয় হবে প্রায় ৭০ থেকে ৭২ টাকা। সরকার যদি দেশের শুল্কটা প্রত্যাহার করে নেয় এবং দুই পক্ষের আলোচনায় যদি রপ্তানিমূল্য কমানো যায়, তাহলে কুরবানিকে সামনে রেখে পেঁয়াজের মূল্য স্বাভাবিক থাকবে।


এদিকে, পেঁয়াজ আমদানির খবরে ১০ টাকা দাম কমলেও এখন পর্যন্ত আমদানি না হওয়ায় আবারও বেড়েছে নিত্যপণ্যটির দাম। এক খুচরা ব্যবসায়ী বলেন, এখন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি না হওয়ায় কারণে পাইকারি বাজারে দাম ১০ টাকা বেশি। এ কারণে আমাদের ৭০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে।


আরেক খুচরা ব্যবসায়ী বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের খবরে দাম কম ছিল। যার ফলে আমাদের লোকসান হচ্ছিল। এখন আবার স্বাভাবিক দামে ৬৫ থেকে ৬৮ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করছি।