জামিনে মুক্তির পর ফের আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশীরা। নতুন কর্মসূচি হিসেবে তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বয়সসীমা ৩৫ করা না হলে আমরণ অনশন অব্যাহত থাকবে।
আটক হওয়া আন্দোলনকারীরা জামিনে মুক্তির পর রোববার (১২ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে আন্দোলনে যোগ দিয়ে এ ঘোষণা দেন।
এর আগে এদিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদের আদালত প্রত্যেকের দুই হাজার টাকা করে মুচলেকা নিয়ে জামিন মঞ্জুর করেন। আটককৃতরা চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল।
জামিনে মুক্তিপ্রাপ্ত আন্দোলনকারীরা হলেন শেখ ফরিদ, আল আমিন, হুমায়ুন কবির, রাসেল, মামুন রশীদ রতন, সাদ্দাম হোসেন, আব্দুল হাকিম, রিমা আক্তার, মানিক দাস, শারমিন আক্তার বৃষ্টি, আজম মোহাম্মদ।
অবৈধভাবে জনসমাবেশ ঘটিয়ে সড়ক অবরোধ, গাড়ি ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধা, গাড়ি ভাঙচুর ও আত্মহত্যার হুমকিসহ নানা ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানার এসআই এসএম এলিস মাহমুদ বাদি হয়ে মামলা করেন। এতে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়।
এদিন দুপুর ১টার দিকে চাকরির বয়স ৩৫ করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশ করেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। সমাবেশে তারা চাকরির বয়স ৩৫ করার বিভিন্ন যৌক্তিকতা তুলে ধরে বক্তব্য দেন।
এরপর গণভবন অভিমুখে একটি পদযাত্রা নিয়ে শাহবাগের দিকে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশি বাধা অতিক্রম করে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা। এতে শাহবাগ এলাকায় তীব্র যানজট তৈরি হয়।