ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলের উপকূলের হিমশীতল চ্যানেলের পানি থেকে মোট ২৩০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তারা চ্যানেল পার হয়ে যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করে। এছাড়া কাছের একটি সমুদ্র সৈকতে আরও দুই ব্যক্তির মৃতদেহ পাওয়া গেছে। তারা দু’জনেই সম্ভবত অভিবাসী। ফরাসি কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রোববার ফ্রান্সের লিল থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
ফরাসি বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সমুদ্র থেকে ‘মোট ২৩০ জনকে’ উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি পা-দো-ক্যালাই দপ্তর এএফপিকে জানায়, প্রথম মৃতদেহটি বার্কের বালুকাময় সৈকতে পাওয়া গেছে, দ্বিতীয়টি সেখান থেকে মাত্র ৩০০ মিটার দূরে পড়ে ছিল। দপ্তরের মতে, এই ব্যক্তিরা অভিবাসী ছিল। তারা একটি ‘ট্যাক্সি-বোট’ বা ছোট ডিঙ্গিতে করে চ্যানেল পার হওয়ার চেষ্টা করে।
অভিবাসীদের একটি দল সকালে ব্রিটেনের উদ্দেশ্যে রওনা হলে তাদের নৌকাটি ডুবে যায়। গ্রেভলাইনের কাছে নৌকাটির ৫৭ জন আরোহী ডুবে যায়। এদের একজনকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় এবং দু’জন হাইপোথার্মিয়ায় আক্রান্ত হয়। এরপর ৩৮ জনকে বহনকারী একটি নৌকা একটি বিপদ সংকেত পাঠায় এবং আরও ১৯ জনকে একটি নৌকা থেকে টেনে নামানো হয়। তবে, নৌকাটি আরও কয়েক ডজন যাত্রী নিয়ে চলতে থাকে। ডানকার্কের কাছে, ৪২ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়, যার মধ্যে দুজনকে আকাশপথে উড়িয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যায় একটি টহল নৌকা ৩৩ জনকে উদ্ধার করে যারা সকালে যাত্রা শুরু করার পর চ্যানেলটি পার হতে ব্যর্থ হয়।
সাম্প্রতিক মাসগুলোয় দফতরের আশেপাশের সৈকতে অস্থায়ী অভিবাসী নৌকাগুলো ডুবে যাচ্ছে। বিশৃঙ্খলভাবে যাত্রা শুরু করার কারণে কিছু যাত্রী জলে পড়ে যাওয়ায় বারবার সেখানে মৃতদেহ ভেসে উঠছে। শীতের মাঝামাঝি সময়েও হিমশীতল আবহাওয়া সত্ত্বেও পারাপারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ফরাসি কর্তৃপক্ষ জানায়, গত বছর ব্রিটেনে পৌঁছানোর চেষ্টাকালে কমপক্ষে ৭৬ জন অভিবাসী মারা যায়, যা ২০২৪ সালকে চ্যানেল পারাপারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে মারাত্মক বছর করে তুলেছে।
সূত্র: এএফপি
এসজেড