কোমরের ব্যথার চিকিৎসা নির্ভর করে ব্যথার কারণ ও তীব্রতার ওপর। সাধারণত ব্যথা হালকা বা মাঝারি হলে ঘরোয়া যত্ন ও জীবনধারার পরিবর্তনের মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে যদি ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী বা গুরুতর হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
প্রাথমিকভাবে বিশ্রাম নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, তবে দীর্ঘসময় একেবারে শুয়ে বা বসে থাকাও ভালো নয়। হালকা হাঁটাচলা বা নমনীয় ব্যায়াম করলে পেশি শিথিল হয় এবং রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকে। বরফ বা গরম সেঁক দেওয়া ব্যথা কমাতে সহায়ক হতে পারে—প্রথম ৪৮ ঘণ্টা বরফ সেঁক দেওয়া ভালো, এরপর প্রয়োজনে গরম সেঁক দেওয়া যেতে পারে।
সঠিক ভঙ্গিতে বসা ও শোয়া জরুরি। দীর্ঘক্ষণ চেয়ারে বসে কাজ করলে কোমরের সাপোর্ট দেওয়া দরকার এবং মাঝে মাঝে উঠে হাঁটা উচিত। ঘুমানোর সময় মাঝারি শক্তিশালী গদি ব্যবহার করা ভালো এবং পাশ ফিরে শোয়া কোমরের জন্য আরামদায়ক হতে পারে।
যদি ব্যথা বেশি হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পেইনকিলার বা মাংসপেশি শিথিলকারী ওষুধ নেওয়া যেতে পারে। তবে দীর্ঘদিন ওষুধের ওপর নির্ভরশীল হওয়া ঠিক নয়। ফিজিওথেরাপি কোমরের ব্যথা নিরাময়ে কার্যকর হতে পারে, বিশেষ করে যদি এটি পেশির দুর্বলতা বা অস্বাভাবিক ভঙ্গির কারণে হয়ে থাকে।
কোমরের ব্যথা রোধে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত ওজন কোমরের ওপর চাপ বাড়ায়, তাই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা প্রয়োজন। হালকা যোগব্যায়াম বা স্ট্রেচিং ব্যথা কমাতে ও প্রতিরোধ করতে সহায়ক হতে পারে।
যদি কোমরের ব্যথার সঙ্গে পা অবশ হয়ে যাওয়া, দুর্বলতা বা প্রস্রাব-বিশেষ ক্রিয়ায় সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি, কারণ এটি স্নায়ুর সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। সাধারণ কোমর ব্যথা সাধারণত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভালো হয়ে যায়, তবে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।