শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসছে চলতি মাসের শেষেই। তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি নিজে সহ উপদেষ্টা পরিষদের অন্য শিক্ষার্থীরাও কয়েক দিনের মধ্যে পদত্যাগ করতে পারেন।
আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞা অধ্যাদেশের মাধ্যমে নয়, বরং বিচারিক প্রক্রিয়ায় আসতে পারে, এবং তা হতে পারে জাতীয় নির্বাচনের আগেই। বিএনপি নির্বাচনের বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করায় সরকারের সঙ্গে তাদের দূরত্ব কিছুটা কমেছে বলেও মনে করেন নাহিদ ইসলাম।
ছয় মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে সরকার পতনের ডাক আসার পর। এরপর, শিক্ষার্থীরা দেশ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে গত সেপ্টেম্বরে গঠন করেন জাতীয় নাগরিক কমিটি, যা নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের পথ তৈরি করেছে।
একাত্তরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা জানান, তিনি এবং উপদেষ্টা পরিষদে থাকা অন্য শিক্ষার্থীরা নতুন দলের কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হতে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, "ছাত্রদের নেতৃত্বে একটি নতুন রাজনৈতিক দল নিয়ে পরিকল্পনা চলছে। এতে অংশ নিতে হলে সরকারের অংশ হয়ে থাকা সম্ভব নয়। আমি যদি সেই দলে যোগ দিতে চাই, তাহলে সরকার থেকে পদত্যাগ করবো।"
তিনি আরও বলেন, "আমি ব্যক্তিগতভাবে ভাবছি, যদি দেখি জনগণের সঙ্গে সরাসরি কাজ করাই এখন সবচেয়ে জরুরি, তাহলে সরকারের পদ ছেড়ে নতুন রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত হবো।"
নতুন দল গঠনের বিষয়ে তিনি উল্লেখ করেন, "আর কয়েক দিনের মধ্যেই সবাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানতে পারবেন।"
এছাড়া, রাজনৈতিক দল গঠন ও নির্বাচনী রাজনীতি যে সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়, তা বিবেচনায় রেখেই তারা মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান নাহিদ ইসলাম।
এদিকে, জাতীয় নির্বাচন ঘিরে বিএনপির সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের দূরত্ব কিছুটা কমেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
thebgbd.com/NA
