যমুনা নদীর ওপর দ্রুত এগিয়ে চলছে বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর কাজ। এ বছরের ডিসেম্বরে সব কাজ শেষ হবে। এতে রেল যোগাযোগে গতি আসবে, বাড়বে ব্যবসা-বাণিজ্য। তবে সেতু থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত সিঙ্গেল লেন হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত সুবিধা পাওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে। এ অবস্থায় এই রুট ডাবল লেন করার দাবি ব্যবসায়ীদের।
যমুনার বুকে এখন দৃশ্যমান বঙ্গবন্ধু রেল সেতু। এরই মধ্যে টাঙ্গাইল অংশে মূল সেতুর কাজ প্রায় শেষ। স্টেশন নির্মাণ ও সেতুর ওপর লাইন বসানোর কাজ চলছে, যা আগস্টের মধ্যে শেষ হবে। আর সিরাজগঞ্জ অংশের কাজ শেষ হবে ডিসেম্বরে।
প্রকল্পের কাজ যথা সময়ে শেষ হবে, আশা নির্মাণ সংশ্লিষ্টদের। এরপর সেতুটি ট্রেন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
সেতুতে কর্মরত এক নির্মাণ কর্মী বলেন, ‘৫০ নম্বর পিলার থেকে শুরু করে আমাদের পরিকল্পনা ২৬ নম্বর পিলার পর্যন্ত কাজ করা। এর মধ্যেই ৩৬ নম্বর পর্যন্ত আমাদের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর প্রকল্প পরিচালক মাসুদুর রহমান বলেন, সম্পূর্ণ কাজের মধ্যে ৮৫ ভাগ অংশের কাজ শেষ হয়েছে। তবে পশ্চিমপাড়ে কাজের কিছুটা কম অগ্রগতি হয়েছে। সেখানে প্রায় ৬৩ শতাংশ কাজের অগ্রগতি হয়েছে। গড়ে প্রায় ৭৬ দশমিক ৫ শতাংশ কাজের অগ্রগতি হয়েছে।
সেতুটি চালু হলে ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আসবে। তবে সেতু থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত সিঙ্গেল লেন হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত সুবিধা পাওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান জানান, জয়দেবপুর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে ঈশ্বরদী পর্যন্ত ডাবল লেনের রেল লাইনের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এ রুটে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলতে পারবে।
২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।