ঢাকা | বঙ্গাব্দ

সকালের নাস্তায় ব্যতিক্রমী খাবার

সকালের নাস্তা দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়।
  • | ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
সকালের নাস্তায় ব্যতিক্রমী খাবার সকালের নাস্তা

সকালের নাস্তা দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়।অনেকেই প্রতিদিন একই ধরনের খাবার খেতে অভ্যস্ত, যেমন রুটি, পরোটা, ডিম, কলা বা দুধ-সিরিয়াল। কিন্তু একঘেয়েমি দূর করতে নাস্তায় কিছু ব্যতিক্রমী পদ যোগ করা যেতে পারে, যা স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি ভিন্নমাত্রার স্বাদ এনে দিতে পারে।


যারা স্বাস্থ্যসচেতন, তারা ওটসের সাধারণ রেসিপির বাইরে গিয়ে ওটস প্যানকেক বা ওটস পরিজে মধু ও বাদাম যোগ করতে পারেন। অনেকে স্মুদি বা ডিটক্স ড্রিংককে নাস্তার অংশ হিসেবে নেন, কিন্তু ব্যতিক্রমী হিসেবে গ্রিন স্মুদি বোল চেষ্টা করা যেতে পারে, যেখানে কলা, পালং শাক, চিয়া সিড ও বাদামি মধুর সংমিশ্রণ থাকবে।


যারা মিষ্টি জাতীয় কিছু খেতে পছন্দ করেন, তারা প্যানকেকের পরিবর্তে বেলজিয়ান ওয়াফল ট্রাই করতে পারেন, যা ফল ও হালকা হুইপড ক্রিম দিয়ে পরিবেশন করলে দুর্দান্ত লাগে। ভারতীয় খাবারের প্রতি ঝোঁক থাকলে ‘মেথি থেপলা’ বা ‘রাগি দোসা’ হতে পারে ভালো বিকল্প।


যারা ভিন্ন ধাঁচের স্বাদ চান, তারা জাপানি ‘তমাগোয়াকি’ বা স্প্যানিশ ‘টরটিলা’ খেতে পারেন। এগুলো ডিমের তৈরি হলেও স্বাদে ও পরিবেশনায় আলাদা। মধ্যপ্রাচ্যের ‘শাকশুকা’ বা ‘মানাকিশ’ এবং ইতালিয়ান ‘ফোকাচ্চা ব্রেড’ ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা দিতে পারে।


বাংলাদেশি খাবারের মধ্যে ‘চিড়ার পোলাও’ বা ‘ডিম খিচুড়ি’ হতে পারে চমৎকার অপশন। যারা মিষ্টি স্বাদের কিছু খেতে চান, তারা ‘দুধ চিড়া’ বা ‘গুড়ের পায়েস’ ট্রাই করতে পারেন। নাস্তায় বৈচিত্র্য আনতে মাঝে মাঝে দেশীয় খাবারের নতুন সংযোজনও চমৎকার অভিজ্ঞতা এনে দিতে পারে।