বৃদ্ধা মাকে বাড়িতে আটকে রেখে সপরিবার কুম্ভমেলায় গেছেন পুত্র! মা দিনের পর দিন তালাবন্ধ ঘরে একা পড়ে রইলেন। একসময় ফুরিয়ে এল খাবার। শেষে প্রাণ বাঁচাতে বন্ধ ঘরের জানলা দিয়ে চিৎকার করে তিনি ডাকলেন প্রতিবেশীদের। খিদের জ্বালায় তত ক্ষণে তিনি কাহিল হয়ে পড়েছেন। প্রতিবেশীরা তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করেন।
ঘটনাটি ঝাড়খণ্ডের রামগড় জেলার। ৬৫ বছরের ওই বৃদ্ধার নাম সঞ্জু দেবী। পুত্র অখিলেশ প্রজাপতি কিছুদিন আগে স্ত্রী এবং পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে মহাকুম্ভ মেলায় যোগ দিতে প্রয়াগরাজে গেছেন। বাড়িতে নিজের মাকে একা রেখে যান অখিলেশ। বাইরে থেকে তালা দিয়ে চলে যান।
প্রতিবেশীরা বৃদ্ধার চিৎকার শুনে দরজা খুলে তাকে খেতে দেন। অভিযোগ, খিদের জ্বালায় দিশেহারা ছিলেন বৃদ্ধা। প্লাস্টিক খাওয়ার চেষ্টাও করেন। নিজের বাড়িতেই তিনি ছিলেন নিরুপায়, বন্দি। প্রতিবেশীরা তার কন্যাকে খবর দেন। কন্যা এসে মাকে নিয়ে যান। পুলিশও ডাকেন।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বৃদ্ধার পুত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পুত্র দাবি করেছেন, মায়ের অনুমতি নিয়েই তিনি কুম্ভে গেছেন। মায়ের জন্য পর্যাপ্ত খাবার রেখে গেছেন বলে জানান তিনি। মা অসুস্থ হওয়ায় তাকে সঙ্গে নিতে পারেননি। অখিলেশের এই দাবি মানতে পারেননি বৃদ্ধার কন্যা চাঁদনী দেবী। তিনি জানান, তিনি মাকে নিজের কাছে নিয়ে গিয়ে রাখতে চান। মাকে একা না-রেখে তার বাড়িতেও রেখে যেতে পারতেন ভাই, দাবি চাঁদনীর।
এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। রামগড়ের এসপি অজয় কুমার এই ঘটনাকে ‘সম্পূর্ণ অমানবিক’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। আনুষ্ঠানিক ভাবে অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ যথাযথ পদক্ষেপ করবে, আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
সূত্র: এনডিটিভি
এসজেড