সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়া জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ২৩ নাবিক নিয়ে আজ সন্ধ্যা ৬টায় কুতুবদিয়ায় নোঙর করবে। আগামীকাল বিকেল ৪টায় লাইটার জাহাজে (ছোট জাহাজ) এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের চট্টগ্রাম বন্দরের কেএসআরএম-এর জেটিতে আনা হবে। কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া বিষয়ক উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত ২৮ এপ্রিল দুবাই থেকে ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে আসে জাহাজটি। এর মধ্যে কিছু চুনাপাথর কুতুবদিয়ায় খালাসের পর বাকি চুনাপাথর চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে খালাস করা হতে পারে। তাহলে নাবিকদের সংবাদ মাধ্যমের সামনে কখন উপস্থাপন করা হবে জানতে চাইলে মেহেরুল করিম বলেন, ‘এখনো তা চূড়ান্ত হয়নি।’
গত ১৩ এপ্রিল রাত ৩টায় সোমালিয়ান দস্যুদের কাছ থেকে মুক্তি পায় এমভি আবদুল্লাহ ও এর ২৩ নাবিক। দস্যুদের ৫০ লাখ মার্কিন ডলার মুক্তিপণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তিনটি ওয়াটারপ্রুফ লাগেজে উড়োজাহাজের মাধ্যমে এগুলো পানিতে ফেলা হয়। ডলার গণনার পর নিশ্চিত হয়েই জাহাজ ছেড়ে যায় ৬৫ জন জলদস্যু। গত ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকে প্রায় ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগরে এমভি আবদুল্লাহর সেকেন্ড অফিসার মোজাহেদুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রথম অস্ত্র ঠেকিয়েছিল সোমালিয়ান জলদস্যুরা। জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাচ্ছিল। জাহাজটি ছিনতাইয়ের পর সোমালিয়ার উত্তর-পূর্ব উপকূলের গ্যরাকাদে নোঙর করেছিল।
এর আগে একই মালিক গ্রুপের জাহাজ এমভি জাহান মনিকে ২০১০ সালে জিম্মি করেছিল একই গ্রুপের জলদস্যুরা। সেবারও মুক্তিপণ দিয়ে নাবিকদের উদ্ধার করা হয়। মুক্তি পাওয়ার পর জাহাজটি দুবাই পৌঁছে জাহাজে থাকা ৫৫ হাজার টন কয়লা খালাস করে গত ২৭ এপ্রিল। আর ২৮ এপ্রিল জাহাজটি চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে আসে।