ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তেলেঙ্গানায় একটি নির্মাণাধীন সেচ টানেলে সুড়ঙ্গে আটকে পড়া আট শ্রমিককে নিরাপদে উদ্ধার করার সম্ভাবনা খুব কম। সোমবার একজন মন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে নয়াদিল্লি থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছেন, তাদের উদ্ধার করতে না পাড়ায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তাদের ভাগ্য। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে উত্তরাখণ্ডের সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গ-ধসে সাফল্য পাওয়া উদ্ধারকারী দলও। তাদের অভিজ্ঞতাকেও ব্যবহার করা হচ্ছে।
তেলেঙ্গানা রাজ্যে শনিবার এই দুর্ঘটনা ঘটে, নাগারকুর্নুল জেলায় শ্রীশৈলম জলাধারের পিছনের দিকে একটি নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের একটি অংশ পানি ও মাটির আকস্মিক চাপের ফলে ধসে পড়ে। সেচের কাজে ব্যবহার করার জন্য ওই সুড়ঙ্গটির মোট ৪৪ কিলোমিটার দীর্ঘ। দুর্ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পরে সোমবার সকালে রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী জুপালি কৃষ্ণ রাও সাংবাদিকদের বলেন, তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা সম্পর্কে ভবিষ্যৎ বাণী করতে পারছি না। (কিন্তু) সম্ভাবনা খুব একটা ভালো নয়।
রাও বলেন, ধসের পরপরই ৪২ জন শ্রমিক সাঁতরে নিরাপদে বেরিয়ে আসেন। উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপের মধ্য আটকে পড়াদের ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া পাননি। তিনি বলেন, উদ্ধারকারী দল ধ্বংসাবশেষ অপসারণের জন্য দিনরাত কাজ করছেন এবং আরো ১০০ মিটার পরিষ্কার করা বাকি রয়েছে। কোনও চেষ্টাই কম হচ্ছে না। আটকে পড়াদের মধ্যে চারজন শ্রমিক এবং অপর চারজন নির্মাণ সংস্থার কর্মকর্তা। সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজের অভিজ্ঞতা থাকা ছয়জনকে ডেকে আনা হয়েছে শ্রীশৈলমে।
মন্ত্রী জানান, সুড়ঙ্গের ভিতরে কাদার স্তর অনেকটা উঁচু হয়ে গেছে। ফলে সেখানে হাঁটা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে। উদ্ধারকারী দল রবারের টিউব এবং কাঠের তক্তা ব্যবহার করছেন চলাচলের জন্য। আটকে পড়া আটজনকে জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা কতটা তা নিয়েও প্রশ্ন করা হয় মন্ত্রীকে। রাও বলেন, ‘(আটকে পড়া ব্যক্তিদের) বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে আমরা আশাবাদী এবং চেষ্টায় কোনও খামতি রাখছি না।’
ভারতে বড় অবকাঠামো নির্মাণের স্থানে দুর্ঘটনা সাধারণ ঘটনা। ২০২৩ সালে ১৭ দিনের ম্যারাথন অভিযানের মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য উত্তরাখণ্ডের হিমালয় অঞ্চলের আংশিক ধসে পড়া একটি সড়ক সুড়ঙ্গ থেকে ৪১ জন ভারতীয় শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়।
সূত্র: এনডিটিভি
এসজেড