চারজন ইসরায়েলি জিম্মির মৃতদেহের বিনিময়ে মধ্যস্থতাকারীরা সকল ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি লক্ষ্যে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছেন। সপ্তাহে এসব বন্দির মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। মিশরের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার কায়রো থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
ফিলিস্তিনির মুক্তিকামী গোষ্ঠী হামাস মিশরের তত্ত্বাবধানে এই চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, এটি ইসরাইলের সঙ্গে তাদের যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্যায়ের অংশ। রোববার, হামাস ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি বিলম্বিত করে পাঁচ সপ্তাহ ধরে চলা গাজা যুদ্ধবিরতিকে বিপন্ন করার অভিযোগ এনেছে।
এদিকে ইসরায়েলি জিম্মিদের কীভাবে মুক্তি দেওয়া হবে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশিত হয়েছে। ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে হামাস গাজা জুড়ে জনসাধারণের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২৫ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। মুক্তির আগে বন্দিদের মুখোশধারী সশস্ত্র যোদ্ধাদের প্রহরায় স্লোগানে সজ্জিত মঞ্চে নিয়ে উঠানো হয়। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এসব ঘটনাকে ‘অপমানজনক আনুষ্ঠানিকতা’ অভিহিত করেছেন।
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি সকল পক্ষকে ‘মর্যাদাপূর্ণ এবং একান্তে’ বন্দি ও জিম্মি বিনিময় করার আহ্বান জানিয়েছে। হামাস সপ্তম স্থানান্তরের মাধ্যমে শনিবার ছয়জন ইসরায়েলি বন্দির মুক্তি দিয়েছে, এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইল ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি স্থগিত করেছে। উভয় পক্ষই পরস্পরের প্রতি যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে। কার্যকর হওয়ার পর থেকে চুক্তিটি মূলত স্থগিত রয়েছে।
সূত্র: এএফপি
এসজেড