ঢাকা | বঙ্গাব্দ

সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার সীমিত?

এবার কী সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে চাইছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প? সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপেরও অভিযোগ উঠেছে।
  • অনলাইন ডেস্ক | ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার সীমিত? সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি ট্রাম্প।

প্রেসিডেন্ট ডোনান্ড ট্রাম্পের খবর কারা সংগ্রহ করতে পারবেন, তা ঠিক করে দেবে মার্কিন প্রশাসন! হোয়াইট হাউসের এই ঘোষণার পর স্বাভাবিক ভাবেই সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার অভিযোগ উঠেছে।


ট্রাম্পের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্টের কথা এবং কাজ কোন কোন সাংবাদিক সংগ্রহ করতে পারবেন, তা নিয়ন্ত্রণ করবে হোয়াইট হাউস। মূলত এয়ার ফোর্স ওয়ান এবং ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার সীমিত করা হবে। মূলত হোয়াইট হাউসে প্রবেশে একচেটিয়া অধিকার বাতিল করতে চলেছে ট্রাম্প প্রশাসন। লেভিটের যুক্তি, ‘নতুন কণ্ঠস্বর’কে সুযোগ দেওয়ার উপর জোর দেওয়া হবে।


হোয়াইট হাউসের নতুন নির্দেশ জারির পর থেকেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকের প্রশ্ন, ট্রাম্প কী এবার সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে চাইছেন? সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপেরও অভিযোগ উঠেছে। যদিও হোয়াইট হাউস নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল। কিন্তু কেন এই নির্দেশনা? সম্প্রতি সংবাদ সংস্থা এপি-র এক সাংবাদিককে ওভাল অফিসের একটি অনুষ্ঠানে সংবাদ সংগ্রহ করতে বাধা দেওয়া হয়। ট্রাম্পের নির্দেশ মেনে মেক্সিকো উপসাগরের নতুন নাম ‘গাল্‌ফ অফ আমেরিকা’ লেখেনি এপি! 


২০ জানুয়ারি শপথগ্রহণের পর ট্রাম্প মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তনের এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। তারপর থেকে প্রায় সর্বত্রই মেক্সিকো উপসাগরকে নতুন নামই উল্লেখ করছে। তবে এপি জানায়, তারা ওই অঞ্চলের পুরনো নাম ব্যবহার করবে। তার পরই হোয়াইট হাউসে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ হয় এপি’র। এ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থও হয় সংবাদসংস্থাটি। তবে সোমবার এক মার্কিন আদালত এপির আবেদন খারিজ করে দেয়। তারপরই হোয়াইট হাউস সংবাদমাধ্যমের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ এসেছে।


সূত্র: এপি


এসজেড