সোমালিয়ায় জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্তির পর অবশেষে দেশে ভিড়ল জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। আজ সোমবার (১৩ মে) বিকেলে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় পৌঁছেছে জাহাজটি। তবে নাবিকরা স্বজনদের কাছে ফিরবেন আগামীকাল মঙ্গলবার।
আজ জাহাজের মালিক কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এত বেশি ড্রাফটের জাহাজ বন্দর জেটিতে ভেড়ানোর সুযোগ নেই।
জাহাজটিতে ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর রয়েছে। কুতুবদিয়ায় প্রথমে কিছু চুনাপাথর লাইটার জাহাজে খালাস করা হবে। এরপর পতেঙ্গার কাছাকাছি বঙ্গোপসাগরে বন্দর জলসীমায় আনা হবে। সেখানে বাকি পণ্য খালাস করা হবে।
তিনি আরও জানান, জাহাজটিতে নতুন ২৩ জন নাবিক যোগদান করবেন আজ। তারা এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের দায়িত্ব বুঝে নেবেন। মঙ্গলবার এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক শহরে আসার কথা রয়েছে।
এর আগে, মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ সোমালিয়ার দস্যুরা ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি জিম্মি করে। এরপর উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগর থেকে জাহাজটি জিম্মি করেছিল সশস্ত্র জলদস্যুরা। ১৪ এপ্রিল ভোরে জাহাজটি জলদস্যু মুক্ত হয়।
এসময় ৬৫ জন জলদস্যু জাহাজটি থেকে বোটে নেমে যায়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুইটি যুদ্ধ জাহাজের পাহারায় এমভি আবদুল্লাহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পার হয়। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে তখন জাহাজের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া, ডেকে হাই প্রেসার ফায়ার হোস বসানো হয়, যাতে জলদস্যুরা ফের হামলা করলে উচ্চচাপে পানি ছিটানো যায়।
গত ২২ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে জাহাজটি দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের জেটিতে ভিড়েছিল। কয়লা খালাস শেষে ২৭ এপ্রিল স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নতুন ট্রিপের পণ্য লোড করতে ইউএইর মিনা সাকার বন্দরে যায়। সেখান থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয় জাহাজটি।