বেশ কিছু মার্কিন পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন। সেই তালিকায় যেমন আছে খাদ্যপণ্য, তেমনই বস্ত্রও। অনেকের মতে, এর মধ্যে দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পাল্টা ‘দাওয়াই’ দিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় বিবৃতি জারি করে মার্কিন পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর কথা জানায়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কোনও পণ্যের উপর ১০ শতাংশ, আবার কোনও পণ্যের উপর ১৫ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করা হবে। ১০ মার্চ থেকে এই নতুন শুল্ক কার্যকর হবে।
অতীতেও বেশ কিছু মার্কিন পণ্যের উপর আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করে চীন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা কয়লা ও প্রাকৃতিক গ্যাসের উপর ১৫ শতাংশ এবং অপরিশোধিত তেল, কৃষি সরঞ্জাম ও বড় গাড়ির উপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার কথা ঘোষণা করা হয়। এ বার আরও কয়েকটি পণ্যের উপর শুল্ক চাপানোর কথা জানালো বেইজিং। বিবৃতি অনুযায়ী, সয়াবিন, শূকরের মাংস এবং অন্যান্য পণ্যের উপর ১০ শতাংশ এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত মুরগির মাংস, গম, ভুট্টা এবং তুলোর উপর ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।
দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ট্রাম্পের একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বিশ্ব দরবারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন, আমদানি শুল্কের বিষয়ে তিনি কখনোই নমনীয় হবেন না। ‘টিট ফর ট্যাট’ নীতি অনুসরণ করার কথা জানান ট্রাম্প। তার দাবি, যে দেশ মার্কিন পণ্যের উপর যত বেশি শুল্ক চাপাবে, যুক্তরাষ্ট্রও সেই সব দেশের পণ্যের উপর তত পরিমাণ আমদানি শুল্ক বসাবে। নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতার পরেই কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যে বাড়তি শুল্ক বসানোর কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প।
সেই সঙ্গে বেইজিংকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানন, চীনের বহু অবৈধ ওষুধ মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করলেও বেইজিং কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। চীন যত দিন না এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে, তত দিন চীনা পণ্যে শুল্ক চাপানো হবে। প্রয়োজনে চীনা পণ্যে আরোপিত শুল্কের হার ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে বলেও জানান ট্রাম্প। পরে চীনা পণ্যে ১০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেন তিনি। মঙ্গলবার থেকেই তা কার্যকর হবে।
সূত্র: রয়টার্স
এসজেড