ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ফের সংগঠিত হচ্ছে হামাস

রোববার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও হামাস দু’পক্ষই জানিয়েছে, গত সপ্তাহের শেষ দিকে গাজার উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে হামাস যোদ্ধাদের সরাসরি যুদ্ধ হয়েছে।
  • | ১৩ মে, ২০২৪
ফের সংগঠিত হচ্ছে হামাস জাবালিয়ার কাছে ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে তুমুল লড়াই করেছে হামাস

গাজায় হামাসের সর্বশেষ শক্ত ঘাঁটি রাফাহ অঞ্চলে— এমন দাবি করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী যখন সেখানে অভিযান জোরদার করছে, ঠিক তখনই গাজার অন্যান্য এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে হামাসের যোদ্ধাদের লড়াই চলছে।

রোববার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও হামাস দু’পক্ষই জানিয়েছে, গত সপ্তাহের শেষ দিকে গাজার উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে হামাস যোদ্ধাদের সরাসরি যুদ্ধ হয়েছে।

হামাসের পক্ষ থেকে রোববার বলা হয়েছে, তাদের যোদ্ধারা জাবালিয়ার কাছে ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে তুমুল লড়াই করেছে। এ ছাড়া জৈতুনে ইসরায়েলি বাহিনীকে লক্ষ্য করে মর্টার শেল নিক্ষেপ করেছেন যোদ্ধারা।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলি হামলা শুরু পর সাত মাসের এই যুদ্ধে গাজায় এটাই সবচেয়ে পরিচিত চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান চালিয়ে কোনো একটি এলাকা হামাস যোদ্ধামুক্ত ঘোষণা করে। তবে অল্প সময়ের ব্যবধানেই হামাস যোদ্ধারা আবার সংগঠিত হয়ে লড়াইয়ে ফিরে আসছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এর মধ্যদিয়ে একটি বার্তা স্পষ্ট হয়েছে যে ভবিষ্যতে দীর্ঘ সময়ের জন্য গাজা উপত্যকায় শক্তিশালী একটি গোষ্ঠী হয়ে টিকে থাকতে পারে হামাস।

এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন রোববার বলেছেন, গাজার শাসনভার কীভাবে চলবে তা নিয়ে ইসরায়েল এখনো কোনো ধারণা দিতে না পারায় তিনি হতাশ। এর অর্থ, গাজায় ইসরায়েলের বিজয় স্থায়ী নাও হতে পারে এবং এর মধ্য দিয়ে সেখানে বিশৃঙ্খলা, নৈরাজ্য ও আবারও হামাসের শক্তিশালী উপস্থিতি দেখা দিতে পারে।

উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১২০০ জন নিহত হয়। এরপর থেকে গাজায় বিমান ও স্থলহামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রায় সাত মাস ধরে চলা এই হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ইসরায়েলি হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।