অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেয়। কয়েক দফা সময় বাড়ানোর পর নির্ধারিত সময় ১৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়, তবে এখনো কতজন কর্মচারী হিসাব জমা দিয়েছেন তার নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান নেই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে।
মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যমতে, অধীনস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ৬৭ হাজার ৯৩১ জন, যার মধ্যে ৬ হাজার ৫৩৯ জন ক্যাডার কর্মকর্তা, মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ৫ হাজার ৯৫১, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও করপোরেশনে ২ হাজার ১৯০, এবং বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসি অফিসে কর্মরত ৫৩ হাজার ২৫১ জন রয়েছেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান জানান, পাঁচ হাজারের বেশি সরকারি কর্মচারী সম্পদের হিসাব জমা দিয়েছেন। অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় কমিশনার অফিস ও দপ্তর-সংস্থায়ও অনেকে জমা দিয়েছেন, তবে যারা জমা দেননি তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী বলেন, বিভাগের বেশির ভাগ কর্মচারী সম্পদের হিসাব জমা দিয়েছেন, তবে নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান পেতে আরও কিছুদিন লাগবে। একই মন্তব্য করেছেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, যিনি জানান, ক্যাডার কর্মকর্তাদের হিসাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে এবং নন-ক্যাডারদের নথি এখনো সংরক্ষিত আছে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়গুলোর অবস্থাও অনুরূপ। বেশির ভাগ ডিসি জানিয়েছেন, তাদের কর্মচারীরা সম্পদের হিসাব দিয়েছেন এবং যারা দেননি তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। পঞ্চগড়ের ডিসি মো. সাবেত আলী জানান, তার কার্যালয়ের প্রায় সব কর্মচারী সময়মতো সম্পদের হিসাব জমা দিয়েছেন, আর যদি কেউ না দিয়ে থাকেন, তাহলে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শেরপুরের ডিসি তরফদার মাহমুদুর রহমানও জানান, বেশির ভাগ কর্মচারী সম্পদের হিসাব দিয়েছেন, যদিও এখনো পর্যালোচনা শেষ হয়নি। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হিসাব জমা দেননি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
thebgbd.com/NA