রোজা অবস্থায় অজু ও গোসলে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে; যেন নাক-কান-গলায় পানি প্রবেশ করতে না পারে। কেননা যদি পানি পেটে ঢুকে যায়, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। আর রোজার কাজা আদায় করতে হবে। তবে কাফফারা লাগবে না। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা: ৬/২৬০)
তবে যদি রোজার কথা স্মরণ না থাকে এবং স্মরণ না থাকার কারণেই গড়গড়া করা হয় এবং গলায় পানি চলে যায়, এতে রোজা ভাঙবে না। সুতরাং ওই রোজার কাজা-কাফফারা কোনোটিই আদায় করতে হবে না। কারণ ভুলে পানাহার করলেও রোজার কোনো ক্ষতি হয় না।
আল্লাহর রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
যে ব্যক্তি ভুলে আহার করল বা পান করল; সে যেন তার রোজা পূর্ণ করে। কারণ, আল্লাহই তাকে পানাহার করিয়েছেন। (মুসলিম: ১/২০২)
প্রসঙ্গত, রোজা রেখে কুলি করা এবং নাকে পানি দেয়া যাবে। তবে গড়গড়া করে কুলি করা এবং নাকের পানি জোড়ে টান দেয়া যাবে না। (আপকে মাসায়েল আউর উনকা হল: ২৮৩)
আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
যে ব্যক্তি ভুলে আহার করল বা পান করল; সে যেন তার রোজা পূর্ণ করে। কারণ, আল্লাহই তাকে পানাহার করিয়েছেন। (মুসলিম, হাদিস: ১/২০২)
ফিকহের কিতাবে রয়েছে যে, পানাহার ও স্ত্রী সহবাস করলে রোজা ভেঙে যায়; যদি রোজাদারের এ কথা মনে থাকে যে; সে রোজা রেখেছে। সুতরাং কেউ যদি রোজার কথা ভুলে গিয়ে পানাহার ও সঙ্গম করে, তবে তার রোজা ভাঙবে না। অবশ্য, স্মরণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা থেকে বিরত থাকতে হব। (রদ্দুল মুহতার, খণ্ড: ০৩, পৃষ্ঠা: ৩৬৫)
thebgbd.com/NIT