কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি বলেছেন, জ্বালানি সমস্যা সমাধানে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালনের চেষ্টা করে দোহা, কিন্তু তা কার্যকর হয়নি। মার্কিন সাংবাদিক টাকার কার্লসনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি উল্লেখ করেন, আমরা দেখেছি, এই বিষয়টি খুব জটিল। আমরা এটিকে ছোট ছোট মধ্যস্থতা প্রচেষ্টায় বিভক্ত করার চেষ্টা করেছি।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা শিশুদের ফাইল নিয়ে কাজ করছিলাম। উদাহরণস্বরূপ, রাশিয়ান এবং ইউক্রেনীয় শিশুদের, তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে আনা। আমরা এনার্জি ফাইল নিয়ে কাজ করছিলাম, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এটি আলোর মুখ দেখেনি।
সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’ ২০২৪ সালের আগস্টে জানায়, জ্বালানি স্থাপনায় হামলা বন্ধের বিষয়ে একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য কাতারের মধ্যস্থতায় পরোক্ষ আলোচনার জন্য দোহায় প্রতিনিধি পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। তবে রাশিয়ার কুর্স্ক অঞ্চলে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর অনুপ্রবেশ আলোচনাকে ব্যাহত করেছে বলে জানা গেছে।
পরে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ রসিয়া-১ টিভি চ্যানেলকে বলেন, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পরিষ্কার করে দিয়েছেন, কুর্স্ক হামলার প্রেক্ষাপটে কিয়েভের সঙ্গে আলোচনা সম্ভব নয়। ২০২৪ সালের ১৯ নভেম্বর কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জ্বালানি সাইটগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেনের সম্ভাব্য আলোচনার বিষয়ে বার্তা সংস্থা তাসের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, দোহার মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা শিশুদের ফিরিয়ে আনার চেয়েও বেশি ছিল।
সূত্র: এএফপি
এসজেড