মশা শুধু বিরক্তিকরই নয়, এটি ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ও চিকুনগুনিয়ার মতো রোগও ছড়ায়। ঘর থেকে মশা দূর করতে কিছু সহজ ও কার্যকর পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে।
প্রথমেই ঘরকে মশামুক্ত রাখতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। মশা সাধারণত নোংরা, অন্ধকার এবং জমে থাকা পানির আশেপাশে বেশি জন্মায়। তাই বাড়ির আশপাশে পানি জমতে না দেওয়া, নালা-নর্দমা পরিষ্কার রাখা এবং ফুলের টবে বা এসির নিচে জমে থাকা পানি নিয়মিত পরিষ্কার করা দরকার।
প্রাকৃতিক উপায়ে মশা তাড়ানোর জন্য লেবু ও লবঙ্গের ব্যবহার খুব কার্যকর। একটি লেবু কেটে তার মধ্যে কয়েকটি লবঙ্গ গেঁথে ঘরের কোণায় রেখে দিলে মশা দূরে থাকে। একইভাবে, নিমপাতা ও ধূপ জ্বালিয়ে ধোঁয়া করলে মশা দূর হয়।
বাজারে পাওয়া বিভিন্ন মশা প্রতিরোধী স্প্রে বা ইলেকট্রিক ব্যাট ব্যবহার করেও মশা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে কেমিক্যালযুক্ত স্প্রে ব্যবহারে সতর্ক থাকা উচিত, কারণ এটি শিশু ও পোষা প্রাণীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
মশারির ব্যবহার সবচেয়ে নিরাপদ ও কার্যকর পদ্ধতি। রাতে ঘুমানোর সময় নিয়মিত মশারি ব্যবহার করলে মশার কামড় থেকে সম্পূর্ণরূপে রক্ষা পাওয়া যায়। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য এটি সবচেয়ে নিরাপদ ব্যবস্থা।
ঘর থেকে মশা তাড়াতে ল্যাভেন্ডার, পেপারমিন্ট, ইউক্যালিপটাস বা লেমনগ্রাসের মতো সুগন্ধি তেলও ব্যবহার করা যেতে পারে। একটি স্প্রে বোতলে পানি ও কয়েক ফোঁটা এসব তেল মিশিয়ে ঘরের বিভিন্ন কোণে স্প্রে করলে মশা দূরে থাকে।
নিয়মিত ফ্যান চালিয়ে রাখলেও মশার উৎপাত কমে যায়। মশা সাধারণত হালকা ওজনের হওয়ায় বাতাসের প্রবাহ সহ্য করতে পারে না। বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর সময় ফ্যানের গতি বাড়িয়ে রাখলে মশা কম আসবে।
যারা দীর্ঘমেয়াদে মশার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান, তারা বাড়ির চারপাশে তুলসী, গাঁদা ফুল বা লেমনগ্রাসের মতো মশা প্রতিরোধী গাছ লাগাতে পারেন। এগুলো প্রাকৃতিকভাবে মশা দূরে রাখতে সাহায্য করে।
উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে সহজেই ঘরকে মশামুক্ত রাখা সম্ভব।