রোজার সময় হাঁচি-কাশির সমস্যা হলে কষ্ট হয়, বিশেষ করে পানি ও ওষুধ খাওয়া সম্ভব না হওয়ায় সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তাই কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চললে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
প্রথমত, শুষ্ক আবহাওয়া বা ধুলোবালি থেকে দূরে থাকা জরুরি। ধুলাবালি ও ঠান্ডা পরিবেশ অনেক সময় হাঁচি-কাশির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বাইরে গেলে মাস্ক ব্যবহার করা এবং ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা প্রয়োজন।
দ্বিতীয়ত, পর্যাপ্ত পানি ও পুষ্টিকর খাবার সেহরি ও ইফতারে খাওয়া দরকার। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন C-সমৃদ্ধ ফল (লেবু, কমলা, আমলকি), মধু ও খেজুর খাওয়া ভালো।
তৃতীয়ত, শুষ্ক গলায় কাশি এড়াতে হালকা গরম পানির ভাপ নেওয়া যেতে পারে। বিশেষ করে সেহরির পর বা ইফতারের আগে গরম পানির ভাপ নিলে নাক-মুখ পরিষ্কার হয় এবং শ্বাসতন্ত্র আর্দ্র থাকে।
চতুর্থত, এলার্জির কারণগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। অনেকে সুগন্ধি, ধোঁয়া, ঠান্ডা বাতাস বা নির্দিষ্ট খাবারে সংবেদনশীল। এসব জিনিস এড়িয়ে চললে হাঁচি-কাশি কমে যেতে পারে।
পঞ্চমত, সেহরিতে বেশি ঠান্ডা খাবার বা ঠান্ডা পানি পান না করাই ভালো। এতে গলা ব্যথা ও কাশির সমস্যা বাড়তে পারে। বরং গরম দুধ বা আদা-মধুর মতো প্রাকৃতিক প্রতিরোধী উপাদান গ্রহণ করা উপকারী।
এই নিয়মগুলো মেনে চললে রোজার সময় হাঁচি-কাশির সমস্যা অনেকটাই কমানো সম্ভব।