সেহরির সময়টি রোজার প্রস্তুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়, এবং এই সময়টিতে কিছু ইবাদত করলে অনেক নেকি অর্জন করা যায়। নিচে সেহরির আগে যেসব ইবাদত করার মাধ্যমে নেকি পাওয়া যায়, তা তুলে ধরা হলো:
১. নফল নামাজ (তাহাজ্জুদ): সেহরির আগের সময়টি রাতে তফরিয ও নফল নামাজের জন্য আদর্শ সময়। অনেক ইবাদতী মুসলমান এই সময়টি শেষ রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে ব্যবহার করেন। তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া এক অনন্য সওয়াবের কাজ এবং রোজার জন্য প্রস্তুতিও।
২. দুআ ও তাওবা: সেহরি সময়ের কিছু মুহূর্ত একদম বিশেষ, কারণ এটি শেষ রাতের সময়। এটি আল্লাহর কাছে দুআ করার জন্য একটি উত্তম সময়।
এই সময় দুআ করা অত্যন্ত মুবারক, এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে তাওবা করলে অনেক সওয়াব পাওয়া যায়।
৩. জিকির: সেহরি সময়ের আগের মুহূর্তে আল্লাহর নাম জপ বা জিকির করা খুবই উত্তম। "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" বা অন্যান্য ছোট ছোট জিকির উচ্চারণ করার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে নেকি অর্জন করা যায়।
৪. কোরআন তিলাওয়াত: শেষ রাতে কোরআন তিলাওয়াতও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি আল্লাহর কাছে নৈকট্য অর্জন করতে সাহায্য করে এবং রোজার জন্য উপকারী। সেহরি সময়ের আগের মুহূর্তে কোরআন তিলাওয়াত করা অনেক বড় নেকি এনে দেয়।
৫. সেহরি খাওয়ার উদ্দেশ্য ও দোয়া: সেহরি খাওয়ার সময় উছিলা হিসেবে আল্লাহর কাছে দুআ করার অনেক গুরুত্ব রয়েছে।
সেহরি খাওয়ার আগে "بِسْمِ اللَّهِ وَعَلَىٰ بَرَکَةِ اللَّهِ" বলে শুরু করা উচিৎ এবং আল্লাহর কাছ থেকে রহমত কামনা করা।
৬. সালাতুল লায়ল (রাতের নামাজ): সেহরি সময়ের আগে রাতের নামাজ পড়া বা সালাতুল লায়ল আদায় করা রোজার বরকত বাড়াতে সহায়ক। এটি রাতের এক বিশেষ নামাজ, যা আল্লাহর কাছে বিশেষ দোয়া কবুল হওয়ার আশীর্বাদ এনে দেয়।
৭. স্বচ্ছ ও সুন্নতি খাবার গ্রহণ: সেহরি খাওয়ার সময় সুন্নতি নিয়মে খাওয়া, যেমন খেজুর বা পানি খাওয়া, তা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে সহায়ক। সেহরি সময়ে খাবারের মধ্যে ভারী খাদ্য থেকে বিরত থেকে হালকা খাবার খাওয়া উচিৎ।
এই সময়টি স্রষ্টার সাথে একান্ত সময় কাটানোর জন্য একটি উপকারী সময়। আল্লাহর রহমত ও বরকত লাভের জন্য আপনি এই সব ইবাদতগুলো করতে পারেন, এবং এটি আপনার রোজাকে আরও কল্যাণময় করে তুলবে।
thebgbd.com/NIT