রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে রাজি তারা। পাশাপাশি তার দাবি, যুদ্ধবিরতি থেকে ক্রমে দীর্ঘস্থায়ী শান্তির পথে হাঁটতে হবে এবং যুদ্ধের কারণও নির্মূল করতে হবে। তবে প্রস্তাব কী ভাবে কার্যকর হবে, সেই নিয়ে কিছু প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তার কথায়, এর মধ্যে কিছু ‘সূক্ষ্ম জটিলতা’ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্দার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে বৈঠকের পর সরকারি বাসভবন ক্রেমলিনে একটি সাংবাদ সম্মেলন করেন পুতিন। সেখান তিনি বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে আমরা রাজি।’ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হলেও যুদ্ধের কারণ নির্মূল করার বিষয়ে জোর দিয়েছেন তিনি। পুতিন বলেন, ‘আমরা মনে করি, যুদ্ধবিরতি থেকে দীর্ঘস্থায়ী শান্তির পথে হাঁটা উচিত। এই সঙ্কটের কারণও নির্মূল করা উচিত।’
তিন বছর রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে ইউক্রেনে প্রবেশ করতে শুরু করে রুশ সেনা। এখন পর্যন্ত সে দেশের পাঁচ ভাগের এক ভাগ দখল করেছে তারা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি এই যুদ্ধ থামিয়েই ছাড়বেন। বুধবার তিনি হোয়াইট হাউসে জানান, যুক্তরাষ্ট্র ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাব দিয়েছে, তাতে ক্রেমলিন রাজি হবে বলেই তার আশা। ইউক্রেন আগেই জানিয়েছে যে, তারাও এই প্রস্তাবে সমর্থন করবে।
ট্রাম্পের বক্তব্যে একদিন পর, বৃহস্পতিবার পুতিন যুদ্ধে ইতি টানতে উদ্যোগী হওয়ার জন্য ট্রাম্পকে ধন্যবাদও দিয়েছেন। এরপরেই পুতিন বলেন, ‘এই চিন্তাভাবনা একেবারেই সঠিক। আমরা সমর্থন করি।’ তবে তিনি মনে করেন কিছু বিষয়ে আলোচনার প্রয়োজন। কী ভাবে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব কার্যকর করা হবে, তা নিয়ে ‘গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন’ রয়েছে তার।
তিনি জানতে চান, ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির অর্থ কী। পুতিনের কথায়, ‘সেখানে (ইউক্রেনে) যারা রয়েছেন, তারা কি যুদ্ধ করবেন না? এই বিষয়টিতে নজরদারি চালাবে কে? এই নিয়ে আমাদের মার্কিন সহকর্মীদের সঙ্গেও কথা বলা দরকার।’ রুশ প্রেসিডেন্ট জানান, তিনি ট্রাম্পকে ফোন করেও কথা বলতে পারেন। তার কথায়, ‘শান্তির মাধ্যমে যুদ্ধে ইতি টানার চিন্তাভাবনাকে আমরা সমর্থন করি।’
রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইউক্রেন। সৌদি আরবের জেদ্দায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠকের পর স্পষ্ট ভাষায় জানায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এবার রাশিয়া জানাল, তারা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি। তবে কার্যকর কী ভাবে করা হবে, তা নিয়ে তাদের প্রশ্ন রয়েছে। তার আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কথা বলতে চায় তারা।
সূত্র: রয়টার্স
এসজেড