ঢাকা | বঙ্গাব্দ

মন্দিরের উৎসবে ঘর দিল মসজিদ

আট্টুকাল পোঙ্গল উৎসবকে তুলনা করা হয় উত্তর ভারতের কুম্ভ মেলার সঙ্গে। একে বলা হয় ‘মহিলাদের শবরীমালা’।
  • অনলাইন ডেস্ক | ১৫ মার্চ, ২০২৫
মন্দিরের উৎসবে ঘর দিল মসজিদ চড়া রোদে পোঙ্গল রান্না।

বৃহস্পতিবার কেরালার রাজধানী থিরুয়ানন্তপুরমে আট্টুকাল ভগবতী মন্দিরে পোঙ্গল উৎসব হয়েছে। যোগ দেন কয়েক লাখ মহিলা। এলাকায় তিল ধারণের জায়গা মেলাও বড় বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এগিয়ে এসেছে স্থানীয় মসজিদ এবং গির্জা। মন্দিরে পুজা দিতে আসা পুণ্যার্থীদের জন্য মানাক্কাদ জুমা মসজিদের গাড়ি রাখার জায়গা খুলে দেওয়া হয়। ড্রাইভারদের বিশ্রামের ব্যবস্থা, ভক্তদের পানি, মহিলাদের আলাদা শৌচাগার— সব ব্যবস্থা করা হয়েছে মসজিদ থেকে। 


এমনকি, উৎসবের দিনগুলিতে মন্দিরে ভিড় সামলানোর জন্য মোতায়েন পুলিশকর্মীদের কথা ভেবে মসজিদের একটি ঘর খুলে দেওয়া হয়। মন্দিরের পুণ্যার্থীদের জন্য বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা, পানি এবং শৌচাগারের ব্যবস্থা করেছে সেন্ট স্টিফেন্স মেট্রোপলিটান ক্যাথিড্রালও। ভেল্লয়ম্বলম সেন্ট টেরেসা অব লিজিও’র স্বেচ্ছাসেবকেরা পুণ্যার্থী মহিলাদের ঘোল পরিবেশন করছেন।


আট্টুকাল পোঙ্গল উৎসবকে তুলনা করা হয় উত্তর ভারতের কুম্ভ মেলার সঙ্গে। একে বলা হয় ‘মহিলাদের শবরীমালা’। মূলত মহিলারাই যোগ দেন। আর যোগ দিতে পারে ১২ বছরের কম বয়সি ছেলেরা। পুরো কেরালার তো বটেই, ভিন্ন রাজ্য, এমনকি বিদেশ থেকেও প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়। দশ দিনের উৎসবের শেষ দিনে চড়া রোদে মাটির বা ধাতুর পাত্রে চাল, গুড় ও নারকেল কোরা দিয়ে পোঙ্গল রান্না করে, সেই নৈবেদ্য উৎসর্গ করা হয় আট্টুকাল দেবীর উদ্দেশে। প্রাচীন তামিল মহাকাব্য চিলপ্পদিকরমের সঙ্গে এই উৎসবের সূত্র জড়িয়ে রয়েছে।


পোঙ্গল উৎসবে আসা মহিলাদের জন্য এমন আয়োজন গত বছরও করেছে সেন্ট স্টিফেন্স মেট্রোপলিটন ক্যাথিড্রাল। মানাক্কাদ জুমা মসজিদের এক প্রতিনিধি জানান, প্রতি বছরই তারা এই ব্যবস্থাপনা করেন। এবার রমজানের সময়ে পোঙ্গল উৎসবটি পড়েছে। একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই প্রতিনিধি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, রোজা চলায় তারা দিনের বেলা ভক্তদের জন্য খাবারের আয়োজন করতে পারেননি। অবশ্য, পোঙ্গলের আগের বিকেলে ইফতারের সময় মন্দিরের ভক্তদের জন্যও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।


সূত্র: এনডিটিভি


এসজেড