পানিশূন্যতা (ডিহাইড্রেশন) তখন ঘটে, যখন শরীরের পানি স্তর প্রয়োজনীয় পরিমাণের চেয়ে কম থাকে। এর কিছু সাধারণ কারণ হল:
অপর্যাপ্ত পানি পান – শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পানি পান না করা।
তীব্র গরমে অবস্থান – অতিরিক্ত গরমের কারণে শরীর বেশি ঘাম হতে পারে, যা পানির অভাব সৃষ্টি করে।
অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম – দীর্ঘ সময় শরীরিক পরিশ্রম করলে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়।
ডায়রিয়া বা বমি – ডায়রিয়া বা বমির কারণে শরীর থেকে প্রচুর পানি বের হয়ে যায়।
কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া – যেমন ডায়ুরেটিকস, যা শরীর থেকে পানি বের করতে পারে।
সুগার বা কিডনি রোগ – কিছু রোগও পানিশূন্যতার কারণ হতে পারে, যেমন ডায়াবেটিস বা কিডনি সমস্যা।
পানিশূন্যতার লক্ষ্মণ: পানিশূন্যতা যদি বেশি হয়ে যায়, তবে এর কিছু লক্ষ্মণ দেখা যেতে পারে:
মুখ ও ত্বক শুকিয়ে যাওয়া – ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে এবং মুখেও শুষ্কতা অনুভূত হয়।
তৃষ্ণা অনুভব করা – অতিরিক্ত তৃষ্ণা অনুভূত হয়, যা পানি পানের তাগিদ দেয়।
মাথাব্যথা বা মূর্ছনা – পানির অভাবে মাথা ঘোরা বা মাথাব্যথা হতে পারে।
শক্তি হীনতা ও ক্লান্তি – শরীরের পানির অভাব থাকলে শক্তি কমে যায় এবং ক্লান্তি অনুভূত হয়।
গা গরম ও শ্বাসকষ্ট – অতিরিক্ত গরম অনুভব হতে পারে, এবং শ্বাসপ্রশ্বাস দ্রুত হতে পারে।
পেশী সংকোচন – পেশী শক্ত হয়ে যেতে পারে বা খিঁচুনি হতে পারে।
প্রচণ্ড মূত্রবিরতি – মূত্র কম হওয়া বা গা dark ় মূত্র তৈরি হতে পারে।
পানিশূন্যতা প্রতিকার: পানিশূন্যতা প্রতিরোধ এবং চিকিৎসার জন্য কিছু কার্যকর পদক্ষেপ:
পানি পান করা – সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হল পর্যাপ্ত পানি পান করা। দিনে কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত।
ইলেকট্রোলাইটস – শুধু পানি নয়, ইলেকট্রোলাইটস (যেমন স্যালাইন) সমৃদ্ধ পানীয় খাওয়া উচিত, যা শরীরের সঠিক পানি ও লবণের ভারসাম্য বজায় রাখে।
শারীরিক পরিশ্রমের পরে পানি পান করা – বিশেষ করে গরম আবহাওয়ায় বা শারীরিক পরিশ্রমের পর পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
পানি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া – তরমুজ, শসা, আখ, বা অন্যান্য জলীয় ফল ও সবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
ডায়রিয়া ও বমি হলে চিকিৎসা নেওয়া – ডায়রিয়া বা বমি হলে দ্রুত চিকিৎসা নিন এবং ইলেকট্রোলাইট সলিউশন পান করুন।
গরমে সতর্কতা অবলম্বন করা – গরমে বাইরে বের হওয়ার সময় নিয়মিত পানি পান করতে হবে এবং অযথা শরীরকে অতিরিক্ত গরমে না রাখাই ভালো।
পানিশূন্যতা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর, তাই নিয়মিত পানি পান করা এবং পানির অভাব অনুভূত হলে দ্রুত তা পূরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।