রমজানের শেষ দিনগুলোর আমল সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিতে বিস্তারিত প্রতিবেদন নিচে দেওয়া হলো:
রমজানের শেষ দশকের বিশেষ আমল
রমজানের শেষ দশক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই সময়ে রয়েছে লাইলাতুল কদর, যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ দিনগুলোতে ইবাদতে আরও বেশি মনোযোগী হতেন।
১. ইতেকাফ: ইতেকাফ করা সুন্নত, বিশেষ করে শেষ দশকে। এটি মসজিদে অবস্থান করে ইবাদতে মগ্ন থাকার একটি আমল।
২. লাইলাতুল কদর তালাশ করা: লাইলাতুল কদর রমজানের শেষ ১০ রাতের বিজোড় রাতে (২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯) পাওয়া যেতে পারে।
এই রাতে বেশি বেশি দোয়া ও ইবাদত করতে হবে।
হাদিসে বলা হয়েছে, এ রাতে পড়ার জন্য রাসুল (সা.) নিম্নের দোয়াটি শিখিয়েছেন:
اللهم إنك عفو تحب العفو فاعف عني
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা'ফু অান্নি।
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল, তুমি ক্ষমা করতে ভালোবাসো, আমাকে ক্ষমা করে দাও।
৩. কুরআন তিলাওয়াত: এ সময়ে বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা উত্তম।
রাসুল (সা.) এবং সাহাবাগণ এ সময় কুরআনের তিলাওয়াত আরও বাড়িয়ে দিতেন।
৪. নফল সালাত: তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।
সালাতুত তওবা (তওবার নামাজ) পড়া যেতে পারে।
৫. দোয়া ও জিকির: নিয়মিত সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ জিকির করা।
বেশি বেশি ইস্তেগফার ও তওবা করা।
৬. সদকা ও দান: রাসুল (সা.) রমজানের শেষ দশকে আরও বেশি দান করতেন।
গরিব-দুঃখীদের সহযোগিতা করা উত্তম আমল।
৭. জাকাত ও ফিতরা আদায় করা: যাদের ওপর ফরজ হয়েছে, তারা যেন সময়মতো জাকাত আদায় করে।
ফিতরার ওয়াজিব আদায় করতে হবে ঈদের আগেই।
রমজানের শেষ দিনগুলোতে বেশি বেশি ইবাদত করা উচিত। কারণ, এই সময়েই আল্লাহর পক্ষ থেকে অফুরন্ত রহমত, বরকত ও মাগফিরাত লাভের সুযোগ রয়েছে। বিশেষত, লাইলাতুল কদর পাওয়ার জন্য আমলে মনোযোগী হতে হবে, কারণ এটি হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে রমজানের শেষ দশকের বরকত অর্জন করার তাওফিক দান করুন। আমিন!
thebgbd.com/NIT