ঢাকা | বঙ্গাব্দ

কোলেস্টেরল দূর করতে যা করবেন

কোলেস্টেরল দূর করতে কিছু কার্যকরী অভ্যাস গড়ে তোলা গুরুত্বপূর্ণ।
  • | ১৬ মার্চ, ২০২৫
কোলেস্টেরল দূর করতে যা করবেন কোলেস্টেরল

কোলেস্টেরল দূর করতে কিছু কার্যকরী অভ্যাস গড়ে তোলা গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চ কোলেস্টেরল হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়, তাই এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। নিচে কিছু কার্যকর উপায় দেওয়া হলো—


১. সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করুন: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা।


ট্রান্স ফ্যাট ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট এড়িয়ে চলুন: ভাজা-পোড়া ও প্রক্রিয়াজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে ট্রান্স ফ্যাট থাকে, যা খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) বাড়িয়ে দেয়।


ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান: ওটস, শাকসবজি, ফলমূল (বিশেষত আপেল, নাশপাতি), ডাল ও বাদাম খেলে কোলেস্টেরল কমতে পারে।


ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন: মাছ (স্যামন, টুনা, সার্ডিন), চিয়া সিড, ও অলিভ অয়েলে ওমেগা-৩ থাকে, যা হৃদযন্ত্রের জন্য ভালো।


প্রোটিনের ভালো উৎস বেছে নিন: লাল মাংসের পরিবর্তে মাছ, মুরগির মাংস, ডাল ও বাদাম বেশি খান।


২. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন: অতিরিক্ত ওজন থাকলে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নিয়মিত ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর খাবারের মাধ্যমে ওজন কমালে কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক থাকে।


৩. নিয়মিত ব্যায়াম করুন: প্রতিদিন অন্তত ৩০-৪৫ মিনিট ব্যায়াম করলে ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বাড়ে এবং খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমে। হাঁটাহাঁটি, দৌড়ানো, সাইক্লিং, সাঁতার কাটা বা জিমের হালকা ব্যায়াম করলেই উপকার পাওয়া যায়।


৪. ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করুন: ধূমপান করলে খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) বাড়ে ও ভালো কোলেস্টেরল (HDL) কমে যায়। এছাড়া অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করলেও কোলেস্টেরল বেড়ে যেতে পারে। তাই এগুলো এড়িয়ে চলা উচিত।


৫. পর্যাপ্ত পানি পান করুন: প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করলে শরীরের মেটাবলিজম ভালো থাকে এবং অতিরিক্ত কোলেস্টেরল দূর হতে সাহায্য করে।


৬. মানসিক চাপ কমান: অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার একটি বড় কারণ হতে পারে। তাই নিয়মিত মেডিটেশন, পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক বিশ্রাম নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।


৭. ডাক্তারের পরামর্শ নিন:যদি খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রা পরিবর্তনের পরও কোলেস্টেরল কম না হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করা লাগতে পারে। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে কোলেস্টেরলের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করা উচিত।


এই নিয়মগুলো মেনে চললে প্রাকৃতিকভাবেই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।