ঢাকা | বঙ্গাব্দ

সাত জনকে বদলি করে কি নিয়ম ভাঙল ব্রাজিল?

পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা এদিন অতিরিক্ত দুজন খেলোয়াড়কে বদলি (সাবস্টিটিউট) হিসেবে নামিয়েছিল। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে কৌতূহল। যদিও যারা ম্যাচটি দেখেছেন তারা সেই ধাঁধা ধরে ফেলার কথা।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ মার্চ, ২০২৫
সাত জনকে বদলি করে কি নিয়ম ভাঙল ব্রাজিল? সংগৃহীত


ঘরের মাঠে শক্তিশালী কলম্বিয়াকে ২-১ গোলে পরাজিত করেছে ব্রাজিল। তাও আবার নাটকীয়ভাবে। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা এদিন অতিরিক্ত দুজন খেলোয়াড়কে বদলি (সাবস্টিটিউট) হিসেবে নামিয়েছিল। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে কৌতূহল। যদিও যারা ম্যাচটি দেখেছেন তারা সেই ধাঁধা ধরে ফেলার কথা। সবমিলিয়ে এদিন ব্রাজিল মাঠে সাত জনকে সাব করিয়েছে। তবে এতে কোনো নিয়ম লঙ্ঘন হয়নি।


ব্রাজিলের জয় নিশ্চিত করা গোলের পর শেষদিকে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে তুলে নেন কোচ দরিভাল জুনিয়র। তাকে বদলি করে নামানো হয় লিও ওরটিজকে। অথচ তিনি ছিলেন সেলেসাওদের সপ্তম বদলি খেলোয়াড়। মূলত কনকাসনের (ইনজুরিজনিত বদলি) কারণে দুটি বাড়তি খেলোয়াড় নামায় ব্রাজিল। যা নিয়মের অধীনে থেকেই। 


গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে চোটের কারণে খেলার মধ্যেই মাঠ ছাড়তে হয় মিডফিল্ডার গারসন এবং গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকারকে। ফলে তাদের স্থলাভিষিক্ত কাউকে তো নামাতেই হতো। সেটি অবশ্য স্বাভাবিক সাবস্টিটিউটের আওতায় পড়বে না।


কনকাশন প্রোটোকল নিয়ম অনুযায়ী– যে কোনো দলই কনকাশন সাবস্টিটিউট করার প্রয়োজন হলে মাঠে বাড়তি খেলোয়াড় নামানোর অনুমতি পায়। কোনো ফুটবলার যদি ম্যাচের সময় মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন, তবে তার জায়গায় একজন নতুন খেলোয়াড় মাঠে প্রবেশ করতে পারবে। এ ছাড়া কোনো দল কনকাশন সাব করলে, বাড়তি একজন খেলোয়াড় বদলি নামাতে পারবে তাদের প্রতিপক্ষরাও। 


অর্থাৎ ইনজুরির কারণে ওই খেলোয়াড় বদলি করার সুযোগ তো থাকছেই, এর বাইরে স্বাভাবিক নিয়মে ৫টি বদল করতে পারে দলগুলো। ব্রাজিল বাড়তি সাব করায় অ্যালিসন ও গারসনের কনকাশন হিসেবে।


ম্যাচটিতে নামার আগেই চোটের কারণে নেইমার-এডারসন-দানিলোদের মতো তারকাদের হারানোর ক্ষত ছিল সেলেসাওদের। এরপর ম্যাচেও ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন ব্রাজিল গোলরক্ষক অ্যালিসন ও মিডফিল্ডার গারসন। 


২৭ মিনিটে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় গারসনকে, ফলে তার জায়গায় নামানো হয় জোয়েলিন্টনকে। ৭১ মিনিটে কলম্বিয়ার ড্যাভিনসন সানচেজের সঙ্গে সংঘর্ষ লেগে মাথায় আঘাত পান অ্যালিসন। ফলে দুজনকেই মাঠ ছাড়তে হয়। সে কারণে ব্রাজিলের গোলবার সামলাতে নামেন ম্যাথিয়াস বেন্তো।

 

এর বাইরে ব্রাজিল ভিনিসিয়ুস, ভেন্ডারসন, গুইমারেস, রদ্রিগো ও ম্যাথিউস কুনহার বদলি ফুটবলার নামিয়েছিল। এ ছাড়া ১০ ফুটবলারের ওপর ছিল হলুদ কার্ড দেখলে আর্জেন্টিনা ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কা। যা সত্যি হয়েছে দুজনের ক্ষেত্রে, গুইমারেস ও গ্যাব্রিয়েল মাগালায়েসের। চোট ও হলুদ কার্ডের এমন বিপর্যস্ত অবস্থার মাঝে ব্রাজিল জয় পায় ৯৮ মিনিটের গোলে।


ম্যাচের শুরুতেই পেনাল্টিতে ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন দারুণ ফর্মে থাকা রাফায়েল রাফিনিয়া। বিরতির আগমুহূর্তে গোল করে লুইস দিয়াজ কলম্বিয়াকে সমতায় ফেরান। তবে ইনজুরি সময়ের নবম মিনিটে গিয়ে ডি বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে ভিনিসিয়ুস স্বাগতিক দর্শকদের উল্লাসে মাতান। পরবর্তী ম্যাচে ব্রাজিল ২৬ মার্চ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার বিপক্ষে তাদের মাঠে খেলতে নামবে।


thebgbd.com/NIT