জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘আমরা দেশবাসীকে বলতে চাই, সেনাবাহিনীকে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
আমরা বলতে চাই, আমাদের অবস্থান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নয়; বরং সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে কেউ কোনো ষড়যন্ত্র যদি করতে চাই, আমাদের অবস্থান তাদের বিরুদ্ধে। দেশের প্রতি সেনাবাহিনীর যে অবদান রয়েছে তার ওপর আমাদের সম্মান, শ্রদ্ধা ও আস্থা রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, তারা আমাদের এই আস্থার প্রতিদান দেবে।’
শনিবার (২২ মার্চ) রাজধানীর শাহবাগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ছোট্ট করে বলতে চাই, আপনাদের যাদের কাজ ক্যান্টনমেন্টে আপনারা ক্যান্টনমেন্টে থাকুন। আমরা আপনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়, সম্মান জানায়। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে আপনাদের যে অবদান রয়েছে, সেটাকে আমরা স্বীকার করি। কিন্তু আমরা বলতে চাই, রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে আপনারা ক্যান্টনমেন্ট থেকে গত ১৬ বছর যেভাবে হস্তক্ষেপ করেছেন, ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিষয় নির্ধারণ করবে রাজনীতিদরা।
এ সময় তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে গুম খুনের বিচার হয় নাই। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার হয় নাই। ভারতবিরোধী আগ্রাসনের বিচার হয় নাই। যেই বাংলাদেশে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিচার হয় নাই। সেই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো ইনক্লুসিভ হতে পারে না।’
তিনি বলেন ‘আপনারা এতদিন কোথায় ছিলেন? দেশে এত অন্যায়, অবিচার, এত গুম, খুন হত্যা হয়েছে, আমরা দেখিনি কোনো জেনারেলকে পদত্যাগ করতে।’
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা, সমর্থন ও পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে। আমাদের কোনো ব্যক্তির ওপর কোনো ক্ষোভ নাই। আমরা বলতে চাই, এই ইনস্টিটিউশনের ওপর আঘাত করে এমন কিছু করবেন না। যারা এই ইনস্টিটিউশনগুলোতে আছেন, তাদের ওপর আমরা আস্থা রাখতে চাই। আপনাদের ওপর আমরা ভরসা রাখতে চাই। আপনারা দায়িত্বে রয়েছেন, সার্বোভৌমত্বের যে প্রশ্ন রয়েছে, সেখানে আপনারা আপসহীন থাকুন। আর রাজনীতির বিষয়টা আপনারা রাজনীতিবিদদের ওপর ছেড়ে দেন। আপনারা ল অ্যান্ড অর্ডার দেখুন। কোনো ইনস্টিটিউশনের বিরুদ্ধে আপনারা জনগণকে দাঁড় করিয়ে দেবেন না।
thebgbd.com/NA