ঢাকা | বঙ্গাব্দ

সেহরির জন্য উচ্চস্বরে ডাকাডাকি, সংঘর্ষে আহত ২৯

ঘটনার সূত্রপাত মাইকিং নিয়ে প্রতিবাদ থেকে, যেখানে মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্ররা এবং কায়েদে আজম ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের মধ্যে বাকবিতণ্ডার পর হাতাহাতি শুরু হয়।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৩ মার্চ, ২০২৫
সেহরির জন্য উচ্চস্বরে ডাকাডাকি, সংঘর্ষে আহত ২৯ সংগৃহীত

পঞ্চগড় সদর উপজেলার একটি খানকাহ শরীফ পরিচালিত মসজিদ থেকে সেহরির আহ্বান জানাতে মাইকে উচ্চস্বরে ডাকাডাকি করার পর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শনিবার বিকেলে হাফিজাবাদ ইউনিয়নের তেলিপাড়া নেছারিয়া হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানায় এই সংঘর্ষ ঘটে, যাতে দুই পক্ষের মোট ২৯ জন আহত হন এবং তারা পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হন।

ঘটনার সূত্রপাত মাইকিং নিয়ে প্রতিবাদ থেকে, যেখানে মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্ররা এবং কায়েদে আজম ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের মধ্যে বাকবিতণ্ডার পর হাতাহাতি শুরু হয়। এর পর মাদ্রাসার অন্যান্য শিক্ষক ও ছাত্ররা আসলে দুইপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়, যার ফলে মাদ্রাসার পরিচালকের মা, শিক্ষক ও ছাত্ররা আহত হন। অপরপক্ষে কায়েদে আজম ও তার স্ত্রীও আহত হন।

মাদ্রাসা শিক্ষক মুহতাসিম বিল্লাহ জানিয়েছেন, ৫-৭ বছর আগে মাদ্রাসার জমি নিয়ে তাদের সঙ্গে বিরোধ ছিল, আর এখন মাইকিংয়ের বিষয়টি নিয়ে তারা ঝগড়া শুরু করেছেন। প্রথমে মাইক বন্ধ রাখা হয়েছিল, তবে পরে স্থানীয়দের দাবিতে আবার মাইকিং শুরু করা হয়।

কায়েদে আজমের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, মাইক দিয়ে সেহরির ডাকাডাকি করার কারণে তাদের বিরুদ্ধে অপমানজনক কথা বলা হয় এবং মাইক আরও বাড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল, কিন্তু তার পরিবর্তে মাইক তাদের বাড়ির দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ হিল জামান জানিয়েছেন, সেহরি ডাকাডাকি এবং পূর্ব শত্রুতার কারণে সংঘর্ষ হয়েছে। দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে এবং তদন্ত শেষে আসামি গ্রেপ্তার করা হবে।


thebgbd.com/NIT