ঢাকা | বঙ্গাব্দ

দ. কোরিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর অভিশংসন খারিজ

আদালতের আট বিচারপতির ৫-১ ভোটে হানের অভিশংসন খারিজ করে দেন।
  • অনলাইন ডেস্ক | ২৪ মার্চ, ২০২৫
দ. কোরিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর অভিশংসন খারিজ হান ডাক-সুর

দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবিধানিক আদালত সোমবার প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সুর অভিশংসন খারিজ করে তাকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্বহাল করেছে। সামরিক আইন জারির জন্য প্রেসিডেন্টকে বরখাস্ত করার পর তাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়। সিউল থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।


ইয়োনহাপ বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, আদালতের আট বিচারপতির ৫-১ ভোটে হানের অভিশংসন খারিজ করে দেন। দুই বিচারপতি অভিশংসন প্রস্তাব সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যানের পক্ষে ভোট দেন। আদালতের এই রায় দক্ষিণ কোরিয়ার জটিল ও সাম্প্রতিক অস্থির রাজনীতিতে সর্বশেষ বড় ঘটনা। আদালতের রায়ের পর সোমবার হান অবিলম্বে তার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের পদে ফিরে আসেন।


৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারি করার ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর দক্ষিণ কোরিয়ার সংসদে প্রেসিডেন্ট ইউনকে অভিশংসিত করার পর প্রধানমন্ত্রী হান ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। দেশটিতে সে সময় যে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছিল তা থেকে দেশকে মুক্ত করতে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল হানের। কিন্তু বিরোধী-নিয়ন্ত্রিত সংসদ ইউনের স্থলাভিষিক্ত হানকে দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক সপ্তাহ পরেই অভিশংসন করে। 


আইনপ্রণেতারা সাংবিধানিক আদালতে আরো বিচারক নিয়োগে হান-এর অস্বীকৃতির কথা উল্লেখ করেছেন। যা ইউনের অভিশংসনের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেবে এবং সামরিক আইনের ব্যর্থতায় তার ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেছেন। সেই সময় আদালতে মাত্র ছয়জন বিচারক ছিলেন। অর্থাৎ যদি একজন বিচারকও অভিশংসন সমর্থন করতে অস্বীকৃতি জানাতেন, তাহলে ইউনকে পুনর্বহাল করা হত। বিরোধীরা আরো তিনজনকে নিয়োগের দাবি জানায়, যার ফলে আদালত পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পরিণত হয়।


ওয়াইটিএন আরো বলেছে যে, সামরিক আইন ঘোষণার পরিকল্পনা সম্পর্কিত সভায় আদালত হানের ভূমিকার কোনও প্রমাণ পায়নি। স্থানীয় সম্প্রচারক ওয়াইটিএন-এর মতে, সোমবার আদালতের সিদ্ধান্তে হানের অভিশংসন বাতিল করার সিদ্ধান্তে ব্যাখ্যায় আদালত বলেছেন যে মনোনীতদের প্রত্যয়িত না করা অবৈধ, তবে বরখাস্তের জন্য যথেষ্ট নয়।


ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে হানের উত্তরসূরী, চোই সাং-মোক, সাংবিধানিক আদালতে দুজন অতিরিক্ত বিচারক নিযুক্ত করেন। রায়ের পর হান বলেন, ‘সাংবিধানিক আদালতের বিজ্ঞ সিদ্ধান্তের জন্য কৃতজ্ঞ’। বরখাস্ত থাকার সময় কঠোর পরিশ্রমের এসময় তিনি মন্ত্রিসভার সদস্যদের ধন্যবাদও জানান। তিনি আরো বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, সমস্ত নাগরিক স্পষ্টতই অত্যন্ত মেরুকৃত রাজনৈতিক ক্ষেত্রের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। এখন বিভাজনের কোনও স্থান নেই। আমাদের দেশের অগ্রাধিকার হল এগিয়ে যাওয়া।’


সূত্র: এএফপি


এসজেড