ঋণ থাকা অবস্থায় জাকাত দেওয়া নিয়ে ইসলামিক শরিয়তে কিছু নির্দেশনা রয়েছে। সাধারণভাবে, ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি যদি তার ঋণ পরিশোধ করার জন্য যথেষ্ট সম্পদ বা উপার্জন না পায়, তবে তাকে জাকাত দেওয়ার অনুমতি রয়েছে। তবে, এটি নির্ভর করে তার ঋণের পরিমাণ এবং তার সম্পদের ওপর।
ঋণ থাকা অবস্থায় জাকাত দেওয়া যাবে কিনা তা নির্ভর করে
ঋণের পরিমাণ: যদি ব্যক্তি এমন ঋণের অধিকারী হন, যা তার মৌলিক চাহিদা (খাবার, পোশাক, বাসস্থান) পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ থেকে বেশি, তবে সে অবস্থায় জাকাত দেওয়ার অনুমতি নেই। কারণ ঋণের পরিমাণ তার মৌলিক প্রয়োজনের পরিমাণে ছাড়িয়ে গেলে, তার সম্পদ বা আয়ের একটা বড় অংশ ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যয় হতে পারে।
ঋণের প্রকৃতি: যদি ঋণটি অত্যাবশ্যক এবং তৎকালীন দরকারি (যেমন, বাসস্থান বা জীবনযাপনের জন্য) হয়, এবং এটি এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া হয় যারা তার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য ঋণ দিয়েছে, তাহলে তার জাকাত দেওয়া যেতে পারে।
ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা: যদি ব্যক্তির অতিরিক্ত সম্পদ না থাকে এবং তার ঋণ পরিশোধের জন্য পর্যাপ্ত উপার্জন বা সম্পদ না থাকে, তবে সে জাকাত গ্রহণের যোগ্য। উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি ব্যক্তি ঋণ শোধ করার জন্য কষ্ট পাচ্ছে এবং তার কাছে মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য পর্যাপ্ত সম্পদ নেই, তাহলে তাকে জাকাত দেওয়া যায়।
যদি ঋণ পরিশোধের পর ব্যক্তির কাছে যথেষ্ট সম্পদ থাকে এবং তার মৌলিক প্রয়োজন পূর্ণ হয়, তবে তাকে জাকাত দেওয়া যাবে না।
তবে, যদি ঋণ পরিশোধের পর ব্যক্তির কোনো যথেষ্ট সম্পদ না থাকে বা ঋণ তার জীবিকার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে তাকে জাকাত দেওয়া যায়।
সুতরাং, ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি যদি তার ঋণ পরিশোধের পরেও দরিদ্র হয়, তার কাছে মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য পর্যাপ্ত সম্পদ না থাকে, তাহলে সে জাকাত পেতে পারেন।
thebgbd.com/NA