ঙ্গলবার (১৪ মে) পশ্চিবঙ্গের শ্রীরামপুরে এক জনসভায় এ কথা জানান তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এছাড়া যেসব সংবাদমাধ্যমে কোনো প্রমাণ ছাড়া এ ধরনের সংবাদ ছেপেছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।
মমতা বলেন, রোজ বলছে তৃণমূল চুরি করেছে। কোথায় চুরি করেছে? কার পকেটে চুরি করেছে জিজ্ঞাসা করুন। হাওয়া তুলে দিয়েছে। চুরি করেছে প্রমাণ কোথায়? আমি আদালতে যাচ্ছি মানহানির মামলা করতে। রোজ সংবাদপত্রে উল্টোপাল্টা বলা! আমি নিজে মামলা করছি।
তিনি বলেন, প্রকাশক-প্রচারক নেই, সেই কাগজগুলো টাকা পাচ্ছে, আর ছেপে দিচ্ছে। আমি ছাড়বার পাত্রী নই। আমি এবার আঁটসাঁট করে ধরব। আমার নামে প্রমাণ নেই, তথ্য নেই আর চোর বানিয়ে দিল! আমি কারও পয়সায় এক কাপ চা-ও খাই না। তাকে বলছে চোর!
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সাতবারের সংসদ সদস্য ছিলাম, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলাম। তিনবার মুখ্যমন্ত্রী রয়েছি। পেনশন ও বেতন বাবদ ৩ লাখ টাকা পেতে পারি মাসে। ১৩ বছরে কয়েক কোটি টাকা দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু টাকা নিইনি। আমার নিজের সাদা টাকা নিইনি।
এরপরই হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেন, আমার নামে সিবিআই মামলা করেছে। বদমাইশের গাছগুলো। যেদিন ওদের গাছে বেঁধে ভালো করে আদর করতে পারব, সেদিন বুঝবে মিথ্যা বলার কী দাম।
একই সঙ্গে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ২০ হাজার কোটি টাকা চুরির অভিযোগ তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপিকে একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
তিনি বলেন, কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে বলছে ২০ হাজার কোটি চুরি করেছে। চুরি করতে গেলে তোদের কাছে করতে যাব কেন? লুটেরা পার্টি একখানা। লজ্জা করে না। পিএম কেয়ার ফান্ডে কত কোটি ঝেড়েছিস? কেউ যদি মনে করে সরকার থেকে ২০ হাজার কোটি তুলব, সেটা কোনো ব্যাপার? আমরা ওই রাজনীতি করি না।