অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করতে রোববার সিউলে মিলিত হচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও চীনের শীর্ষ বাণিজ্য কর্মকর্তারা। গত পাঁচ বছরে এই প্রথম দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও চীন যৌথভাবে শীর্ষ বাণিজ্য বৈঠক করছে। শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সরকারি সূত্র এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি নয় এমন সব গাড়ি ও ছোট ট্রাকের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার কয়েকদিন পর এ ত্রিদেশীয় বৈঠকের ঘোষণা এলো। দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান অটো রপ্তানিকারক প্রধান দেশ এবং চীনও মার্কিন শুল্ক ব্যবস্থার কারণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সরকারি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, ‘রোববার সকালে সিউলে ত্রিপক্ষীয় অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য মন্ত্রীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।’ এই বৈঠকে দক্ষিণ কোরিয়ার শিল্পমন্ত্রী আহন ডুক-গিউন, জাপানের শিল্পমন্ত্রী ইয়োজি মুটো এবং চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েন্টাও উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও হবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার মন্ত্রী আহন বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘যেহেতু দক্ষিণ কোরিয়া ৫০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করে, এত পরিমাণ শুল্ক আরোপের ফলে আমাদের শিল্পে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ছে।’ জরুরি এক বৈঠকে আহন বলেন, ‘মার্কিন শুল্ক ব্যবস্থার প্রতিক্রিয়া জানানোর প্রক্রিয়াটি এক দফা আলোচনায় সমাধান করা হবে না। এতে সময় লাগবে মনে হচ্ছে।’
এদিকে গত মাসে একবার শুল্ক বৃদ্ধির পর চলতি মাসে আবারো চীনা আমদানির ওপর ব্যাপক শুল্ক আরোপ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুল্ক বৃদ্ধির ফলে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ দুটির মধ্যে মোট বাণিজ্যে শত শত বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েন্টাও সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘মার্কিন শুল্ক বিশ্বব্যাপী শিল্প সরবরাহ শৃঙ্খলের স্থিতিশীলতা ব্যাহত করবে এবং বিশ্ব অর্থনীতির উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করবে।’ তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি এই ভুল পথে চলতে থাকে, তাহলে আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করব।’ জাপান সরকারের মুখপাত্র বৃহস্পতিবার বলেছেন, অটো আমদানির ওপর মার্কিন শুল্ক ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’।
সূত্র: এএফপি
এসজেড