ইসলাম মানুষকে জান্নাতের সুসংবাদ দেয় এবং জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার পথও দেখায়। কোরআন ও হাদিসে কিছু বিশেষ আমলের কথা এসেছে, যেগুলো যথাযথভাবে পালন করলে তা জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করতে পারে বা সেই আগুন নিভিয়ে দিতে পারে। নিচে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল তুলে ধরা হলো—
১. নামাজ কায়েম করা
রাসুল (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি নামাজ আদায় করবে, নামাজ তাকে কিয়ামতের দিন আলো, প্রমাণ ও মুক্তির উপায় হবে। আর যে নামাজ অবহেলা করবে, কিয়ামতের দিন সে হবে কারুন, ফিরাউন, হামান ও উবাই ইবনে খালাফের সঙ্গী।” (আহমদ, দারিমি)
নামাজ জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার অন্যতম প্রধান হাতিয়ার।
২. চোখের পানি দিয়ে কান্না করা (আল্লাহর ভয়ে)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, “দু’চোখকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না—এক চোখ, যা আল্লাহর ভয়ে কেঁদেছে; অন্যটি, যা আল্লাহর রাস্তায় পাহারা দিয়েছে।” (তিরমিজি)
একান্তভাবে আল্লাহর ভয়ে কাঁদা জাহান্নামের আগুন নেভাতে সহায়ক।
৩. রোজা রাখা
রাসুল (সা.) বলেন, “রোজা জাহান্নামের আগুন থেকে ঢালস্বরূপ।” (সহিহ বুখারি, মুসলিম)
বিশেষ করে নফল রোজা যেমন আরাফা, আশুরা, সোম- বৃহস্পতি বা শনি-রোজার নিয়মিত অভ্যাস করলে তা অনেক পাপ মোচনে সহায়তা করে।
৪. সদকা বা দান করা
“তোমরা জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচো—even যদি তা হয় একটি খেজুর দিয়ে সদকা করে।” (বুখারি, মুসলিম)
সামান্য সদকাও আল্লাহর রহমতে জাহান্নামের আগুনকে প্রতিরোধ করতে পারে।
৫. “আল্লাহুম্মা আজির্নি মিনান-নার” দোয়া পাঠ
রাসুল (সা.) বলেন, “যে ব্যক্তি দিনে সাতবার এই দোয়া পাঠ করে—
اللّهُمَّ أَجِرْنِي مِنَ النَّارِ
(উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আজির্নি মিনান-নার)
(অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করুন)
—আল্লাহ তাকে সেই দিনের জন্য জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন।” (আবু দাউদ)
৬. সিজদাহ বৃদ্ধি করা
রাসুল (সা.) বলেছেন, “তোমরা বেশি বেশি সিজদাহ করো, কেননা প্রত্যেক সিজদার বিনিময়ে আল্লাহ তোমার মর্যাদা বাড়ান ও পাপ মাফ করেন।” (মুসলিম)
সিজদাহকারী ব্যক্তিকে আল্লাহ কখনো হেলাফেলা করেন না।
৭. রাতে কিছু সময় ইবাদত করা
“রাতের তাহাজ্জুদ নামাজ এবং নিভৃতে আল্লাহর কাছে কান্না করা বান্দাকে জাহান্নামের আগুন থেকে দূরে রাখে।”
বিশেষ করে রমজান মাসে কিয়ামুল লাইল বা তাহাজ্জুদের মাধ্যমে এ ফজিলত পাওয়া যায়।
thebgbd.com/NA