ঢাকা | বঙ্গাব্দ

শরীর থেকে মাথা আলাদা!

২০০৫ সালে ফুটবল খেলতে গিয়ে পড়ে যান মেগান। সে সময় তার শরীর থেকে মাথা আলাদা হয়ে যায়।
  • অনলাইন ডেস্ক | ১৩ এপ্রিল, ২০২৫
শরীর থেকে মাথা আলাদা! মেগান কিং

মাঠে ফুটবল খেলতে খেলতে শরীর থেকে ছুটে আলাদা হয়ে যায় মাথা। তখন তরুণীর বয়স মাত্র ১৬। তারপর ৩০ বার অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকেরা। শেষ পর্যন্ত জোড়া লাগানো গেছে মাথা। এই দীর্ঘ চিকিৎসা পদ্ধতি, সেই সঙ্গে তার যাত্রা সমাজমাধ্যমে তুলে ধরেছেন মেগান কিং নামে ওই তরুণী। মার্কিন তরুণীর এই গল্প শুনে বিস্মিত অনেকেই। কেউ তাকে বাহবা দিয়েছেন, কেউ তার সহ্যশক্তিকে স্যালুট করেছেন।


২০০৫ সালে ফুটবল খেলতে গিয়ে পড়ে যান মেগান। সে সময় শরীর থেকে মাথা আলাদা হয়ে যায়। তার গাঁটগুলি দুর্বল হয়ে যায়। আলগা হয়ে যায় পেশি। সর্বক্ষণ অসম্ভব যন্ত্রণা হত। তার কারণেই এই বিপত্তি। প্রায় ১০ বছর পর চিকিৎসকেরা তার সমস্যার কারণ বুঝতে পারেন। তারা জানান, বিরল জিনগত রোগ ‘হাইপারমোবাইল এহলার’স-ডানলোস সিনড্রোম’ (এইচইডিএস) রয়েছে মেগানের। এর ফলে হাড়ের সঙ্গে পেশিকে ধরে রাখার কোলাজেন শরীরে তৈরি হয় না। তাই হাড় থেকে পেশি আলগা হয়ে যায়।


সংবাদমাধ্যম ‘দ্য সান’-এর প্রতিবেদন বলছে, চিকিৎসকেরা একটি ধাতব যন্ত্র দিয়ে মেগানের ধড়ের সঙ্গে মাথা জুড়ে দেন। কিন্তু সেই যন্ত্র খুলতেই মেরুদণ্ড থেকে মাথা আবার আলগা হয়ে যায়। চিকিৎসাবিদ্যার ভাষায় একে বলে ‘আটলান্টো-অসিপিটাল ডিসলোকেশন’ (এওডি)। মেগান বলেন, ‘সে সময় পিছন দিকে হেলে বসতে হত। দাঁড়াতে পারতাম না। ডান দিক কাঁপত।’ এর পরে চিকিৎসকেরা আবার অস্ত্রোপচার করেন। প্রায় ৩৭ বার অস্ত্রোপচার হয়েছে মেগানের। মেগানের মেরুদণ্ডের হাড়গুড়ি জুড়ে দেন চিকিৎসকেরা। ফলে এখন তিনি আর মাথা নাড়তে পারেন না।


সূত্র: দ্য সান


এসজেড