ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ইরানের অস্ত্র চোরাচালানের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করলো জর্ডান

  • | ১৫ মে, ২০২৪
ইরানের অস্ত্র চোরাচালানের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করলো জর্ডান জর্ডনের সঙ্গে ইসরায়েলের সখ্যতা বেশ পুরোনো

ইরানের নেতৃত্বাধীন একটি বড় অস্ত্র চোরাচালানের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়ার দাবি করেছে জর্ডান। দেশটির দুজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বর্তমান শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে সহায়তা করতে এই অস্ত্র নিয়ে আসার চেষ্টা করে ইরান।

অস্ত্রগুলো সিরিয়ায় ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী জর্ডানের মুসলিম ব্রাদারহুডের একটি সেলের কাছে পাঠানো হয়। যেটির সঙ্গে আবার ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

জর্ডানি কর্মকর্তারা জানিয়েছে, মার্চের শেষ দিকে ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত জর্ডানের নাগরিকদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর অস্ত্রগুলো জব্দ করা হয়।

হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধের কারণে গত কয়েক মাস ধরে মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক উত্তেজনা চলছে। এর মাঝেই প্রথমবারের মতো জর্ডানে অস্ত্র জব্দের খবর জানা গেলো।

তবে পরিচয় প্রকাশ করতে না চাওয়া জর্ডানের ওই দুই কর্মকর্তা জানাননি এসব অস্ত্র দিয়ে কী ধরনের নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছিল।

তারা শুধু জানিয়েছেন, নাশকতার মাধ্যমে মূলত জর্ডানকে অস্থিতিশীল করে দেওয়ার পরিকল্পনা সাজানো হয়েছিল। কারণ জর্ডানের সঙ্গে মিসর, সিরিয়া এবং ইসরায়েলর সীমান্ত রয়েছে। এছাড়া রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর ঘাঁটি।

এছাড়া কী ধরনের অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে সেটিও স্পষ্ট করে জানাননি তারা। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ইরানের প্রক্রিদের অস্ত্র চোরাচালানের বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টা রুখে দিয়েছে জর্ডান। সেগুলোর মধ্যে ছিল ক্লাইমোর মাইন, সি৪ এবং সেমটেক্স বিস্ফোরক, কালাসিনোকোভ রাইফেল এবং ১০৭ মিলিমিটার কাতিউসা রকেট।

এসব অস্ত্রের বেশিরভাগই ইসায়েলের দখলদকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মার্চের শেষ দিকে যেসব অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে সেগুলোর কিছু জর্ডানেও ব্যবহারের জন্য আনা হয়েছিল।

জর্ডানের মুসলিম ব্রাদারহুড জানিয়েছে, তাদের কয়েকজন কর্মী অস্ত্র চোরাচালানের সঙ্গে জড়িয়ে গ্রেফতার হয়েছেন। তবে এর সঙ্গে দলের কোনো নীতিগত সমর্থন নেই বলে জানিয়েছে তারা।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সঙ্গে সখ্যতা থাকায় দীর্ঘদিন ধরে জর্ডানে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে ইরান। এজন্য তারা তরুণদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে। জর্ডানে ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত অসংখ্য মানুষ বসবাস করেন। মূলত তাদেরই এক্ষেত্রে টার্গেট করা হচ্ছে।

সূত্র: রয়টার্স