ঢাকা | বঙ্গাব্দ

আল্পসে ঝড়, নিহত ১, নিখোঁজ ২

মাত্র কয়েক ঘণ্টার অস্বাভাবিক এই তুষারপাত কর্তৃপক্ষ ও বাসিন্দাদের অবাক করে দেয়।
  • অনলাইন ডেস্ক | ১৮ এপ্রিল, ২০২৫
আল্পসে ঝড়, নিহত ১, নিখোঁজ ২ নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশী চলছে।

আল্পস পর্বতমালা জুড়ে শুক্রবার প্রবল বসন্তকালীন ঝড়ের কারণে কিছু এলাকায় এক মিটারেরও বেশি তুষারপাতে অন্তত একজনের মৃত্যু হয়েছে ও দুই ব্যক্তি এখোনো নিখোঁজ রয়েছেন। ভয়াবহ ওই দুর্যোগে স্কি এলাকা বন্ধ হয়ে গেছে, পরিবহন বন্ধ হয়ে হয়েছে। ফ্রান্সের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আল্পস উপত্যকা সেন্ট-জুলিয়েন-মন্ট-ডেনিস থেকে এএফপি এ তথ্য জানায়।


ঝড়ের কারণে ফ্রান্স, ইতালি ও সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট ও ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। কয়েকটি এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যদিও এপ্রিল মাসে আল্পস পর্বতমালায় প্রায়ই তুষারপাত হয়ে থাকে, তবে মাত্র কয়েক ঘণ্টার অস্বাভাবিক এই তুষারপাত কর্তৃপক্ষ ও বাসিন্দাদের অবাক করে দেয়। ইতালিতে দমকল বাহিনী উত্তর পিডমন্ট অঞ্চল থেকে ৯২ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃতদেহ তার বন্যা কবলিত বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে।


ইতালির দমকলকর্মীরা শুক্রবার এক্স-এ লিখেছেন ‘অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা নিখোঁজ দুজনের সন্ধান অব্যাহত রেখেছে।’ প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, ‘ভিসেনজায় গাড়িতে থাকা এক বাবা ও তার ছেলে তাদের বাড়ির কাছ থেকে ভেসে গেছেন।’ ইতালির বিমান বাহিনীর আবহাওয়া পরিষেবা জানিয়েছে, দেশটির উত্তরে ‘তীব্র ও প্রচুর’ বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা ১,৮০০ মিটার উচ্চতার উপরে তুষারে পরিণত হয়েছে।


কর্তৃপক্ষ জানায়, ফরাসি রিসোর্ট ভ্যাল থোরেন্সে, এক নারী তুষার ধসে চাপা পড়ার পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ফ্রান্সের টিগনেসে, রাতের বেলায় ১.১ মিটারেরও (সাড়ে তিন ফুট) বেশি তুষারপাতের পর কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের ঘরের ভিতরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। টিগনেস-এর হোটেল কর্মচারী ম্যাথিস বলেন, ‘সমস্ত গাড়ি ছাদ পর্যন্ত ঢেকে গেছে। বাইরে হাঁটা উদ্বেগজনক।’ বেশ ক’টি অঞ্চলে তুষারধসের ঝুঁকি সর্বোচ্চ স্তরে বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশ কয়েকটি স্কি এলাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।


সুইজারল্যান্ডের সিওন শহরের ৩৬ হাজার মানুষকে বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে। ফরাসি গ্রাম টার্মিগননের একজন অবসরপ্রাপ্ত ক্রস-কান্ট্রি স্কি প্রশিক্ষক ইয়ান গিওড্রি,  বসন্তের রোদে তুষার গলে বন্যার ঝুঁকি নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘অল্প সময়ের মধ্যে, এটি একটি বিশাল পরিমাণ তুষারপাত।’ গাছ পড়ে যাওয়া বা তুষারপাতের ঝুঁকির কারণে তিনটি দেশেই অনেক রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।


ফ্রান্স ও ইতালির মধ্যে প্রধান মন্ট ব্ল্যাঙ্ক টানেল ব্যবহারে ভারী ট্রাক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। টানেল দিয়ে যেতে না পারা বেশ কিছু সংখ্যক লোক ইতালি ও ফ্রান্সকে সংযুক্তকারী এ৪৩ হাইওয়েতে আটকা পড়েছে। সাভোই অঞ্চলের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মতে, ট্রেনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩,৩০০ টির বেশি ফরাসি বাড়ি এক পর্যায়ে বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে।


সূত্র: এএফপি


এসজেড