ঢাকা | বঙ্গাব্দ

রহমত ও বরকতের দিনকে ঘিরে গুরুত্বপূর্ণ আমলগুলো

পবিত্র জুমার দিন মুসলমানদের জন্য একটি বিশেষ বরকতময় দিন হিসেবে গণ্য হয়। ইসলামী শরীয়তে শুক্রবারকে সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন বলা হয়েছে।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৮ এপ্রিল, ২০২৫
রহমত ও বরকতের দিনকে ঘিরে গুরুত্বপূর্ণ আমলগুলো ছবি : সংগৃহীত।

ঢাকা: পবিত্র জুমার দিন মুসলমানদের জন্য একটি বিশেষ বরকতময় দিন হিসেবে গণ্য হয়। ইসলামী শরীয়তে শুক্রবারকে সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন বলা হয়েছে। এই দিনে কিছু বিশেষ আমল রয়েছে, যেগুলো পালন করলে একজন মুসলমান বিপুল সওয়াবের অধিকারী হতে পারেন। হাদীস ও কুরআনের আলোকে জুমার দিনের আমলগুলো নিচে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো:


১. গোসল ও পরিচ্ছন্নতা


জুমার দিন গোসল করা সুন্নাত। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, “প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের উপর জুমার দিনে গোসল করা আবশ্যক।” (বুখারী: ৮৭৭)


২. দুআ ও ইস্তেগফার


জুমার দিনে একটি বিশেষ সময় থাকে, যখন বান্দার করা দুআ আল্লাহ কবুল করে নেন। হাদিসে এসেছে: “জুমার দিনে একটি মুহূর্ত আছে, কোনো মুসলিম সে সময়ে নামাজে থাকাকালীন আল্লাহর কাছে কিছু চাইলে, আল্লাহ তা তাকে দেন।” (বুখারী ও মুসলিম)


অনেক আলেমের মতে, এই সময়টি আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত।


৩. সূরা কাহফ তিলাওয়াত


হাদীস শরীফে এসেছে, “যে ব্যক্তি জুমার দিনে সূরা কাহফ পাঠ করবে, তার দুই জুমার মধ্যকার সময় নূরে ভরে যাবে।”

(হাকিম)


৪. জুমার নামাজ এবং খুতবা শ্রবণ


জুমার নামাজ মুসলমানদের জন্য একটি বিশেষ ফারজ ইবাদত। ইমাম সাহেবের খুতবা মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


রাসূল (সা.) বলেন, “যে ব্যক্তি খুতবার সময় কথা বলে, সে অকারণে কথা বলল এবং তার জুমার সওয়াব নষ্ট হয়ে গেল।”

(আবু দাউদ)


৫. দান ও সদকা


শুক্রবার হলো বরকতের দিন। এই দিনে দান-সদকার সওয়াব বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। গরীব-দুঃখীদের সহায়তা করা ও আত্মীয়-স্বজনের খোঁজ নেওয়াও উত্তম আমল।


৬. দরুদ শরীফ পাঠ


রাসূল (সা.) বলেছেন, “তোমরা জুমার দিনে আমার উপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো। কারণ, তোমাদের দরুদ আমার নিকট পেশ করা হয়।” (আবু দাউদ: ১৫৩১)


জুমার দিন কেবল সাপ্তাহিক ছুটি নয়, বরং ইবাদত ও আত্মশুদ্ধির একটি মহান সুযোগ। তাই মুসলমানদের উচিত এই দিনে করণীয় আমলগুলো যথাযথভাবে পালন করা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করা।


thebgbd.com/NA