ঢাকা | বঙ্গাব্দ

যেসব স্থানে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ পাওয়া গেছে, জানালেন চিফ প্রসিকিউটর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ২০ এপ্রিল, ২০২৫
যেসব স্থানে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ পাওয়া গেছে, জানালেন চিফ প্রসিকিউটর সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) তদন্ত সংস্থা জানিয়েছে, রাজধানীর উত্তরায় র‌্যাব-১ সদর দপ্তর, আগারগাঁওয়ে র‌্যাব-২ সিপিসি এবং কচুক্ষেতে জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি) বলপ্রয়োগ পূর্বক গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

আইসিটির চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম আজ রোববার এক শুনানিতে বলেন, এখন পর্যন্ত ৮০০-৯০০টি অভিযোগ পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ৩০০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ২০০টি অভিযোগের তদন্ত প্রায় শেষ হয়েছে। আরও সময় চেয়ে আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল আগামী ২৪ জুন পর্যন্ত সময় মঞ্জুর করে।

তিনি জানান, ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মাধ্যমে মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। এর মধ্যে সাবেক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান গ্রেপ্তার আছেন। তদন্তে চারটি ডিটেনশন সেন্টার ও গোপন কেন্দ্রের খোঁজ পাওয়া গেছে এবং সেখান থেকে বিভিন্ন আলামত ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি বলেন, শত শত গুমের অভিযোগ রয়েছে, যেগুলো একত্রে করে একটি মামলা করা হয়েছে এবং প্রতিটি ঘটনাকে আলাদা করে তদন্ত করে প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে।

চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, প্রাক্তন আইজিপি বেনজির আহমেদসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ১২ ফেব্রুয়ারি বরখাস্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং আজ তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।


thebgbd.com/NIT