ঢাকা | বঙ্গাব্দ

কঙ্গোতে কাবিলার দলের কার্যক্রম স্থগিত

কাবিলা ২০০১ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১৮ বছর দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন এবং এখনও তিনি পিপিআরডির প্রধান।
  • অনলাইন ডেস্ক | ২১ এপ্রিল, ২০২৫
কঙ্গোতে কাবিলার দলের কার্যক্রম স্থগিত জোসেফ কাবিলা।

ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর সরকার জানিয়েছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট জোসেফ কাবিলার রাজনৈতিক দল পিপলস পার্টি ফর রিকনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেমোক্র্যাসি (পিপিআরডি)-এর কার্যক্রম তারা স্থগিত করেছে। এর কয়েকদিন আগেই নিরাপত্তা বাহিনী কাবিলার বিভিন্ন সম্পত্তিতে অভিযান চালায়।


কিনশাসা থেকে এএফপি জানায়, শনিবার তারিখযুক্ত এক বিবৃতিতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘এই সিদ্ধান্ত কাবিলার প্রকাশ্য সক্রিয়তার প্রতিক্রিয়ায় নেওয়া হয়েছে।’ কাবিলা ২০০১ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১৮ বছর দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন এবং এখনও তিনি পিপিআরডির প্রধান। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পিপিআরডির কার্যক্রম জাতীয় ভূখণ্ড জুড়ে স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।’ দলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।


বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স চিসেকেদি কাবিলার বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহের প্রস্তুতি’ ও সরকারবিরোধী জোটকে সমর্থনের অভিযোগ তুলেছেন, যেখানে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী এম২৩-ও রয়েছে, যারা পূর্ব কঙ্গোতে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ছে। বর্তমানে ৫৩ বছর বয়সী কাবিলার পরিবারের একজন মুখপাত্রের মতে, তিনি ২০২৩ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই দেশ ছেড়েছেন।


তবে চলতি এপ্রিলের শুরুতে, তার কার্যালয়ের মাধ্যমে প্রচারিত এক বার্তায় তিনি জানান, ‘দেশ বিপদের মধ্যে’ থাকায় তিনি আবার ফিরে আসবেন—যদিও নির্দিষ্ট কোনো তারিখ উল্লেখ করেননি। অপ্রমাণিত সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, তিনি পূর্বাঞ্চলীয় শহর গোমায় পৌঁছেছেন বা পৌঁছাতে যাচ্ছেন।


বৃহস্পতিবার কাবিলার পারিবারিক মুখপাত্র জানান, রাজধানী কিনশাসার কাছে তার প্রধান খামার ও পরিবার-সম্পর্কিত আরেকটি স্থাপনায় নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে কাবিলার দলকে ‘রুয়ান্ডার আগ্রাসনমূলক যুদ্ধে দোষী অথবা সহযোগী নীরবতা পালন’-এর অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।


কিনশাসা, জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক শক্তি বলেছে, এম২৩ গোষ্ঠী রুয়ান্ডার সমর্থনপুষ্ট—যদিও রুয়ান্ডা এই অভিযোগ অস্বীকার করে। এম২৩ গোষ্ঠীই পূর্ব কঙ্গোতে নতুন করে সংঘাত উসকে দিয়েছে এবং গোমা ও বুকাভু শহর দখল করেছে।


সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, কাবিলা এম২৩ বিদ্রোহ প্রসঙ্গে বরাবরই ‘অস্পষ্ট মনোভাব’ রেখে চলেছেন এবং কখনোই বিদ্রোহের নিন্দা জানাননি। এতে আরও বলা হয়, কাবিলার ‘সচেতনভাবে শত্রু-নিয়ন্ত্রিত গোমা শহর দিয়ে দেশে প্রবেশের সিদ্ধান্ত’ নিন্দনীয়। অন্য এক বিবৃতিতে কঙ্গোর বিচার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এম২৩-এর সঙ্গে কাবিলার ‘সরাসরি সম্পৃক্ততার’ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রধান প্রসিকিউটরকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।


সূত্র: এএফপি


এসজেড