ঢাকা | বঙ্গাব্দ

যাবজ্জীবনের রায়ে আসামিদের অট্টহাসি

আদালতের রায় ঘোষণার পর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামিদের প্রত্যেকের মুখেই ছিলো অট্টহাসি।
  • | ১৫ মে, ২০২৪
যাবজ্জীবনের রায়ে আসামিদের অট্টহাসি সংগৃহীত

আদালতের রায় ঘোষণার পর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামিদের প্রত্যেকের মুখেই ছিলো অট্টহাসি! এসময় এক আসামি তার স্বজনদের উদ্দেশে বলেন, ‘অল্প সময়ের মধ্যে বের হয়ে আসবো, নো টেনশন।’  


বুধবার বিকেলে রাজবাড়ীর জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে এমন ঘটনা ঘটেছে। আসামিদের এমন আচরণে ভীতসন্ত্রস্ত ভুক্তভোগী পরিবার। নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কার কথা জানিয়েছেন তারা।  


এর আগে রাজবাড়ীতে আলোচিত মঞ্জু শেখ হত্যা মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করে আদালত। এছাড়া অপর এক আসামিকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও সাত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।


রাজবাড়ীর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র বিচারক মোসাম্মৎ জাকিয়া পারভিন এ রায় দেন। 


যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- গোয়ালন্দ উপজেলার সোহরাব মন্ডলের পাড়া এলাকার সুলতান মৃধার ছেলে শাহাদাৎ মৃধা অরুপে লাভলু, বিল্লাল মোল্লার ছেলে মো. মনোয়ার হোসেন অরুপে মনু, মো. বাতেন সরদারের ছেলে মো. রিপন সরদার ও আক্কাছ শেখের ছেলে মো. কোবাদ শেখ।


আর তিন বছরের সাজাপ্রাপ্ত ওপর আসামি হলেন গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের মো. ফিরোজ বেপারীর ছেলে রুবেল বেপারী। রায় ঘোষণার সময় শাহাদাৎ মৃধা ছাড়া অন্য চার আসামি আদালতে হাজির ছিলেন।


মামলা ও আদালত সূত্র জানা যায়, আসামিরা ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর দুপুরে ভাড়ায় চালানো মোটরসাইকেল চালক মঞ্জু শেখকে ফোনে ডেকে নিয়ে যান। ওই রাতেই মঞ্জুকে হত্যা করা হয় এবং চরদৌলতদিয়া আইনউদ্দিন বেপারী পাড়া এলাকায় একটি খালে তার মরদেহ ফেলে রাখা হয়। পরদিন সকালে স্থানীয়রা মরদেহ দেখে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।  


এ ঘটনায় ২৭ অক্টোবর নিহতের পিতা বাবুল শেখ বাদি হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।


বাবলু শেখ বলেন, আমি ছেলে হারিয়েছি। অন্তত একজন আসামির ফাঁসি হলেও আমি খুশি হতে পারতাম। আসামিরা যেভাবে হেসে হেসে আমার সামনে দিয়ে চলে গেলো, এতে আমি আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়ছি।


জেলা ও দায়রা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর পিপি এ্যাডভোকেট উজির আলী শেখ বলেন, আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়ে এ মামলায় চার আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও একজনের তিন বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেছে। বিচার প্রার্থী ন্যায়বিচার পেয়েছে। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছি।