ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তৃতীয় দফা পারমাণবিক আলোচনার প্রাক্কালে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি মঙ্গলবার চীন সফর করবেন। সোমবার এক সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকাই তার চীন সফরের ঘোষণা দেন। এর আগে আরাঘচি ডিসেম্বরে চীন সফর করেন। দেশটির মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে তেহরান থেকে এএফপি এ তথ্য জানায়।
২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী অন্যতম দেশ চীন। জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন (জেসিপিওএ) নামে পরিচিত চুক্তিটি তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে নিয়ন্ত্রণ করে। জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাশাপাশি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আরও চার স্থায়ী সদস্য ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও চুক্তিটি স্বাক্ষর করে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে তার প্রথম মেয়াদে চুক্তি থেকে সরে আসেন, যার ফলে এক বছর পর ইরান তার শর্ত লঙ্ঘন করে। ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে, ট্রাম্প তেহরানের সাথে পারমাণবিক আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন এবং একই সাথে সামরিক পদক্ষেপের হুমকিও দিয়েছেন। পশ্চিমা দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে ইরানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করার অভিযোগ করে আসছে। তেহরান বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
ইরান জানিয়েছে, ওমানের মধ্যস্থতায় এবং আরাঘচি ও ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফের অংশগ্রহণে মার্কিন-ইরান আলোচনার তৃতীয় দফা শনিবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। চীন ইরানের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার ও দেশটির তেলের প্রধান ক্রেতা। তেহরান এখনও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে রয়েছে।
ইরানি গণমাধ্যমের মতে, প্রায় ৯২ শতাংশ ইরানি তেল চীনের কাছে বিক্রি করা হয় এবং এই তেল প্রায়শই যথেষ্ট ছাড়ে বিক্রি করা হয়। ২০২১ সালে, তেহরান ও বেইজিং জ্বালানি, নিরাপত্তা, অবকাঠামো ও যোগাযোগসহ অন্যান্য ক্ষেত্রগুলো অন্তর্ভুক্ত করে ২৫ বছরের একটি বিস্তৃত কৌশলগত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।
সূত্র: এএফপি
এসজেড