সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও রমজানে কোল্ড স্টোরেজে ডিম রাখেন অনেক ব্যবসায়ী। আর এ ডিম বাজারজাত করার আগে এসএমএস কারসাজির মাধ্যমে বাড়ানো হচ্ছে দর। তেজগাঁও ডিমের আড়তের নামে দেয়া ঐ এসএমএস মুহূর্তেই ছড়িয়ে যাচ্ছে দেশব্যাপী। যদিও বিষয়টি মানতে নারাজ আড়তদার সমিতি।
কিশোরগঞ্জের একটি কোল্ড স্টোরেজের দৃশ্য এটি। গেল ৫ মে মজুদ রাখা প্রায় ২৮ লাখ ডিম উদ্ধার করে ভোক্তা অধিদপ্তর। নরসিংদীর মাধবদির আরেকটি কোল্ড স্টোরেজ থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ১৯ লাখ ডিম। ডিম সংরক্ষণে সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও, রমজানে চাহিদা কমায় কম দামে ডিম কিনে কোল্ড স্টোরেজে রাখেন ব্যবসায়ীরা।
অভিযোগ আছে, এসব ডিম বাজারে ছাড়ার আগে ইচ্ছাকৃত দাম বাড়ানো হচ্ছে। একাত্তরের হাতে আসা তেজগাঁও সমিতির দর নামে কিছু এসএমএসে দেখা যায়, চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে ডিমের দর শ' প্রতি আড়াইশ' টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এসএমএস দেয়া এ দর মুহূর্তে ফেইসবুক পেইজের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে দেশব্যাপী। এই সময়ের মধ্যে কম মূল্যে কেনা কোল্ড স্টোরেজের ডিম ছাড়া হয়েছে বলছেন পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, এই ডিম রাখা যায় পাঁচ মাস। তারা মাঝে মাঝে কোল্ড স্টোরেজের ডিম বেশি দামে বিক্রি করে। আবার কম দামে ডিম কিনে কোল্ড স্টোরেজে রাখেন। তারা আগস্টে এসব এ ডিম বিক্রি করেন। আগস্টে দাম বাড়ার পেছনে বড় একটা কারণ হলো এই কোল্ড স্টোরেজের ডিম।
তবে তেজগাঁওয়ের ডিম সমিতি বলছে এই এসএমএস তাদের নয়। কোনো একটি চক্র তাদের নামে এসএমএস চালাচালি করছে।
তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি আমানত উল্লাহ বলেন, এসএমএসের প্রশ্নই ওঠে না, আমি চ্যালেঞ্জ করতে পারি। আমরা গোয়েন্দা সংস্থা এবং থানায় জিডিও করেছি, এ বিষয়ে কিছু জানি না।
গণমাধ্যমের হাতে আসা তেজগাঁও আড়তের কিছু ভাউচারের সাথে এসএমএসের দরের হুবহু মিল পাওয়া যায়। ফলে ব্যবসায়িদের কাছে প্রশ্ন ছিলো, কীভাবে নির্ধারিত হচ্ছে ডিমের দর।
বড় বড় ব্যবসায়িদের কারসাজির এ মাশুল গুনতে হচ্ছে খুচরা দোকানের নিম্ন আয়ের ক্রেতাদের।
বিষয়টি এখনই নিয়ন্ত্রণে না আনলে তাপপ্রবাহের দোহাই দিয়ে ডিমের দাম আরো বাড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।