বুরকিনা ফাসোর সামরিক জান্তা সোমবার দাবি করেছে, তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে একটি ‘বড় ষড়যন্ত্র’ নস্যাৎ করে দিয়েছে। সামরিক জান্তা বলেছে, তাদের বিশ্বাস এই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীরা প্রতিবেশী আইভরি কোস্টে রয়েছেন। আবিদজান থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
একটি সেনা অভ্যুত্থানের পর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বুরকিনা ফাসো ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম ট্রোরের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম প্রায়শই আইভরি কোস্টকে তার বিরোধীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য দোষারোপ করে আসছেন। ট্রোর দেশে নিরাপত্তা পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু তার সরকার নিয়মিতভাবে ভিন্নমতাবলম্বীদের চুপ করিয়ে দিচ্ছে। দেশটিতে বিশেষ করে জান্তার শত্রু বলে বিবেচিত বেসামরিক নাগরিকদের অপহরণ এবং বিচারবহির্ভূত গ্রেপ্তারের ঘটনা অনেক বেড়েছে।
জাতীয় টেলিভিশনে এক বিবৃতিতে নিরাপত্তা মন্ত্রী মাহামাদু সানা বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থার সূক্ষ্ম তৎপরতায় আমাদের দেশের বিরুদ্ধে একটি বড় ষড়যন্ত্রের প্রস্তুতি প্রকাশ্যে এসেছে। সন্ত্রাসী চক্রান্তকারীদের চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা।’ তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসী চক্রান্তকারীদের পরিকল্পনা অনুসারে, বুধবার ১৬ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে (বুরকিনা) ফাসোর প্রেসিডেন্টের ওপর জাতির শত্রু কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত একদল সেনার আক্রমণের মাধ্যমে এই কৌশলটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা থামানো গেছে।’
সোমবার নিরাপত্তা সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, জান্তার সমর্থকরা সরকারকে ‘অস্থিতিশীল’ করার পরিকল্পনার অভিযোগে গত সপ্তাহে দুই কর্মকর্তাসহ এক ডজন সামরিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। ২০১৫ সাল থেকে বুরকিনা ফাসো ইসলামিক স্টেট গ্রুপ বা আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত গোষ্ঠীগুলোর জিহাদি সহিংসতায় জর্জরিত। ট্রোর গত বছর দাবি করেন বুরকিনাকে অস্থিতিশীল করার ‘অভিযানের কেন্দ্র’ প্রতিবেশী আইভরি কোস্ট।
সূত্র: এএফপি
এসজেড