তানজানিয়া পুলিশ মঙ্গলবার একটি বিরোধী দলের উপ-প্রধানকে গ্রেফতার করেছে। যার নেতা ইতোমধ্যে আটক রয়েছেন বলে দলটি জানিয়েছে। এই বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ব্যাপক দমন-পীড়নের অভিযোগ উঠেছে। দারুস সালাম থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
দলটি জানায়, চাদেমা পার্টির ভাইস-চেয়ারম্যান ও জাতীয় পরিষদের সদস্য জন হেচেকে মঙ্গলবার পূর্ব আফ্রিকার দেশটির অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দু দারুস সালামের এক সমাবেশ থেকে আটক করা হয়েছে। চাদেমা নেতা টুন্ডু লিসু ও অন্যান্য দলের সদস্যদের এই মাসে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। টুন্ডু লিসুকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হবে। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে লিসুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যার সাজা মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।
পুলিশ মঙ্গলবারে নির্ধারিত এক বিক্ষোভ স্থগিত করার আহ্বান জানায়। তবে হেচে পুলিশি সতর্কতা সত্ত্বেও লিসুর সমর্থনে বিক্ষোভের আহ্বান অব্যাহত রাখে। তবে চাদেমা দলটি বলেছে, পুলিশের বিজ্ঞপ্তিটি শেষ মুহূর্তে এসেছে। চাদেমার মুখপাত্র ব্রেন্ডা রুপিয়া বলেন, হেচেকে কোন থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে দলটি তা জানতে পারেনি।
চাদেমা’র এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা বিশ্বাস করি, এসব গ্রেফতার বিরোধী দলের সাংবিধানিক ম্যান্ডেটকে পঙ্গু করে দেওয়ার, জনগণের কণ্ঠস্বর রোধ করার এবং দেশটির একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের প্রস্তুতির প্রাক্কালে রাজনৈতিক স্থান সীমিত করার একটি পরিকল্পিত কৌশলের অংশ।’ একজন সরকারি কর্মকর্তা সম্প্রতি বলেছেন, আসন্ন নির্বাচন থেকে চাদেমা দলটিকে বাদ দেয়া হয়েছে, কারণ তারা নির্বাচনী আচরণবিধিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
চাদেমা এই আচরণবিধি সংস্কারের দাবি জানিয়েছে। লিসু ও হেচে প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসানের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী পন্থা অবলম্বন করার অভিযোগ করেছেন। অধিকার গোষ্ঠীগুলো এবং কয়েকটি পশ্চিমা সরকার দেশটিতে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মী গ্রেফতার ও তাদের কয়েকজনের মৃত্যুর ঘটনার নিন্দা করেছে।
সূত্র: এএফপি
এসজেড