বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি ঘরের রান্নাঘরে পরিচিত একটি নাম—কাতলা মাছ। সুস্বাদু ও সহজলভ্য এই মাছটি শুধু স্বাদেই নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর। সম্প্রতি পুষ্টিবিদদের একাধিক গবেষণায় উঠে এসেছে, কাতলা মাছ নিয়মিত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
প্রচুর প্রোটিন: কাতলা মাছ উচ্চমাত্রার প্রোটিনসমৃদ্ধ, যা শরীরের কোষ গঠনে ও ক্ষয়補রণে সহায়ক। প্রতি ১০০ গ্রাম কাতলা মাছে প্রায় ১৮-২০ গ্রাম প্রোটিন থাকে।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: এই মাছে থাকা ওমেগা-৩ হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে। শিশুদের বুদ্ধিবিকাশে কাতলা মাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
ভিটামিন ও খনিজ উপাদান: কাতলা মাছে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি, এবং ই—যা চোখের জন্য ভালো, হাড় শক্ত করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়াও আছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ও জিংক।
কম ক্যালোরি, কম ফ্যাট: ওজন নিয়ন্ত্রণে যারা সচেতন, তাদের জন্য কাতলা মাছ হতে পারে আদর্শ। এতে ফ্যাটের পরিমাণ কম, ফলে তা হজমেও সহজ।
পুষ্টিবিদ ডা. ফারজানা ইসলাম বলেন, "কাতলা মাছ শুধু প্রোটিন নয়, স্বাস্থ্যবান থাকার জন্য প্রয়োজনীয় নানা উপাদান সরবরাহ করে। নিয়মিত মাছ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।"
দেশীয় এই মাছটিকে খাদ্য তালিকায় রাখলে তা শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে। তাই কাতলা মাছ শুধু স্বাদের নয়, পুষ্টিরও এক অনন্য উৎস।