সিঙ্গাপুরের নির্বাচনী প্রচারণা আনুষ্ঠানিকভাবে বুধবার শুরু হয়েছে। জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের কারণে জনসাধারণের ক্ষোভ ও হতাশা এবং বিরোধী দলের পুনরুজ্জীবিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এই প্রথম বড় পরীক্ষার মুখোমুখি হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওং। সিঙ্গাপুর থেকে এএফপি এখবর জানায়।
৩ মে নির্বাচনটি এমন এক সময় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যখন ধনী নগর-রাষ্ট্রটি মার্কিন শুল্কের কারণে অস্থির বিশ্ব অর্থনীতির মুখোমুখি হচ্ছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনে দাঁড়ানোর উদ্দেশে তাদের নথি জমা দেওয়ার জন্য দ্বীপ জুড়ে নয়টি মনোনয়ন কেন্দ্রে সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন।
২০২৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন ওং। তিনি সিঙ্গাপুরের স্বাধীনতার নেতা ও প্রথম প্রধানমন্ত্রী লি কুয়ান ইউয়ের পুত্র লি সিয়েন লুং-এর স্থলাভিষিক্ত হন। ওং বলেন, এই নির্বাচনে অনেক কিছু ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আমরা একটি পরিবর্তিত বিশ্বে আছি যেখানে চারিদিকে অস্থিরতা বিরাজ করছে। তিনি বলেন, ‘আপনার ভোট আপনার ও আপনার সন্তানদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।’
সিঙ্গাপুরে বর্তমান ক্ষমতাসীন পিপলস অ্যাকশন পার্টি (পিএপি) অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে প্রভাব বিস্তার করে আসছে। দলটি ক্ষমতায় থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রধান বিরোধী দল ওয়ার্কার্স পার্টি (ডব্লিউপি) নির্বাচনের জন্য ক্যারিশম্যাটিক প্রার্থীদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে।
৫৯ বছর বয়সী সিনিয়র আইনজীবী হরপ্রীত সিং নেহাল মিডিয়ার কাছ থেকে অনেক মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন। পর্যবেক্ষকরা বলেছেন, তিনি দলের জন্য একজন তারকা। ওয়ার্কার্স পার্টির প্রধান প্রীতম সিং ভোটারদের তাদের সমর্থনে ‘গতি বজায় রাখার’ আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আসুন আরো কণ্ঠস্বর ও বিশ্বাসযোগ্য নেতৃত্ব নিয়ে অধিকতর ভারসাম্যপূর্ণ সংসদ গড়ে তুলি।’
সূত্র: এএফপি
এসজেড