ভারত থেকে সব মশলা আমদানি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত কড়াকড়ি আরোপ করেছে ব্রিটেন। ভারতের মশলার দুটি ব্র্যান্ডের বিরুদ্ধে দূষণের অভিযোগের পরে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ দেখা দেয়। এরপর সব ভারতীয় মশলার যাচাই-বাছাই শুরু করেছে খাদ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দেশটির খাদ্য পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
এপ্রিল মাসে হংকং ভারতের এমডিএইচের তিনটি মশলা এবং এভারেস্টের একটি মশলার বিক্রয় স্থগিত করেছে। কারণ হিসেবে জানানো হয়, এই পণ্যগুলোর মধ্যে উচ্চ মাত্রায় ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কীটনাশক ইথিলিন অক্সাইড রয়েছে।
এভারেস্ট মিক্স প্রত্যাহারের আদেশ দিয়েছে সিঙ্গাপুরও। তবে নিউজিল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া জানায়, তারা এই ব্র্যান্ড দুটির সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলো দেখছে।
এমডিএইচ এবং এভারেস্ট ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুটি ব্র্যান্ড। তারা বলেছে, তাদের পণ্যগুলো ব্যবহারের জন্য নিরাপদ।
তবে এখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের এই কড়াকড়ির প্রভাব সব ধরণের ভারতীয় মশলার ওপর পড়েছে। দেশটির ফুড স্ট্যান্ডার্ড এজেন্সি (এফএসএ) বলেছে, উদ্বেগের কারণ হলো ‘ভারত থেকে আসা মশলায় কীটনাশকের অবশিষ্টাংশের জন্য অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রয়োগ করা হয়েছে যার মধ্যে ইথিলিন অক্সাইড রয়েছে।’
তবে সংস্থাটিতে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি।
ফুড স্ট্যান্ডার্ড এজেন্সির খাদ্য নীতির ডেপুটি ডিরেক্টর জেমস কুপার রয়টার্সকে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এখানে ইথিলিন অক্সাইড ব্যবহারের অনুমতি নেই এবং ভেষজ এবং মশলাগুলোর জন্য সর্বাধিক অবশিষ্টাংশের মাত্রা রয়েছে।’
জেমস কুপার বলেন, ‘যদি বাজারে কোনো অনিরাপদ খাদ্য থাকে, তাহলে ভোক্তাদের সুরক্ষিত রাখার জন্য এফএসএ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।’
ভারতের মশলা বোর্ড, যারা এই রফতানি নিয়ন্ত্রণ করে। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে তারা সাড়া দেয়নি।
অর্থনৈতিক বিষয়ক ওয়েবসাইটের তথ্য থেকে দেখা যায়, ২০২২ সালে ব্রিটেন ১২৮ মিলিয়ন ডলার মূল্যের মশলা আমদানি করে, যার মধ্যে ভারত থেকে প্রায় ২৩ মিলিয়ন ডলার মূল্যের মশলা আমদানি করা হয়।
বিশ্বের বৃহত্তম মশলা রফতানিকারক, ভোক্তা এবং উৎপাদনকারী দেশ ভারত। এমডিএইচ এবং এভারেস্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং অস্ট্রেলিয়াসহ অনেক অঞ্চলে তাদের পণ্য রফতানি করে।