ঢাকা | বঙ্গাব্দ

মুক্তিপণ নিয়েও দুই নাবিককে নিয়ে যেতে চাচ্ছিলো দস্যুরা

মুক্তিপণ পাওয়ার পরও নেভির হাত থেকে বাঁচতে দুই নাবিককে জিম্মি করে নিজেদের সাথে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন সোমালিয়ান জলদস্যুরা।
  • | ১৬ মে, ২০২৪
মুক্তিপণ নিয়েও দুই নাবিককে নিয়ে যেতে চাচ্ছিলো দস্যুরা ফাইল ছবি

মুক্তিপণ পাওয়ার পরও ইউরোপিয়ান নেভির হাত থেকে বাঁচতে এম ভি আবদুল্লাহ’র দুই নাবিককে জিম্মি করে স্পিডবোটে নিজেদের সাথে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন সোমালিয়ান জলদস্যুরা। শেষে কর্তৃপক্ষের অনুরোধে নৌবাহিনীর জাহাজটি ১৫ নটিক্যাল মাইল দূরে সরে গেলে রাতে জাহাজ ছাড়ে জলদস্যুরা।


তাদের কবলে থাকা সেই শ্বাসরুদ্ধকর অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন মুক্তি পাওয়া নাবিক আইনুল হক।


সোমালিয়ান উপকূলের কাছেই নোঙর করা ছিল এমভি আবদুল্লাহ। তাই হেলিকপ্টার থেকে ফেলা মুক্তিপণ পেয়েই চারটি স্পিডবোটে বেশ কয়েকজন জলদস্যু চলে যেতে পারলেও ইউরোপিয়ান নেভির জাহাজ কাছাকাছি চলে আসায় আটকে যায় সোমালিয়ান দস্যুদের দুইটি স্পিডবোট।


এমভি আবদুল্লাহ’র নাবিক আইনুল হক জানান, নিরাপদে পালিয়ে যেতে জলদস্যুরা এসময় দুই নাবিককে জিম্মি করে সাথে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। শেষে কর্তৃপক্ষের অনুরোধে ইউরোপিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ ১৫ নটিক্যাল মাইল দূরে সরে গেলে রাতে জাহাজ ছাড়ে বাকি জলদস্যুরা।


তিনি আরও জানান, জলদস্যুদের সাথে মেশিনগান ছাড়াও ছিল রকেট লঞ্চার। মুক্তিপণ না দিলে সবাইকে গুলি করে মারার পাশাপাশি জাহাজ উড়িয়ে দেওয়ায় হুমকিও দেয় দস্যুরা।


মুক্তিপণ দেওয়ার পরও কোন দুই নাবিককে জলদস্যুরা ধরে নিয়ে যায়, নাবিকরা সেই উৎকণ্ঠায় ছিলেন বলেও জানান এমভি আবদুল্লাহ’র নাবিক আইনুল। শেষ পর্যন্ত মুক্তি পেয়ে স্বদেশে ফিরতে পেরে খুশী আইনুল আর তার স্বজনরা।